সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কাকে কেন 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয়?

 কাকে কেন 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয়? কাকে কেন 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয়? Who and why is called the Liberator Czar? প্রিমিয়ার যুদ্ধে পারাজয়ের ফলে জারতন্ত্রের দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষও জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাসের মারা গেলে তার পুত্র দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার সিংহাসনে আরোহন করেন এবং সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করার জন্য নানাবিধ সংস্কারমূলক কাজে হাত দেন। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ করা। ১৮৬১ সালে ১৯ শে ফেব্রুয়ারি তিনি আইন করে এই প্রথা উচ্ছেদ করেন। ফলে বিপুল সংখ্যক ভূমি দাস, যারা আসলে ক্রীতদাসের মতো জীবন যাপন করত, তারা মুক্তি পায়। আর এই এই কারণে  ঐতিহাসিক ই লিপসন জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলে অভিহিত করেছেন। -----------xx------------- হিংসায় বিকল্প প্রশ্ন : রাশিয়ার কোন শাসক, কেন ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ করেছিলেন? রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা যার বলা হয় কেন? কে, কাকে, কেন মুক্তিদাতা জার বলে অভিহিত করেছেন? রাশিয়ার ক

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

 ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়।  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছেদ করে দুই

কে কাকে কেন 'জনতার বিপ্লব' বলে অভিহিত করেছেন?

কে, কাকে, কেন 'জনতার বিপ্লব' বলে অভিহিত করেছেন? কাকে কেন 'জনতার বিপ্লব' বলা হয়? Who, whom, called the revolution of the masses? ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে  জনতার বিপ্লব  হিসাবে অভিহিত করেছেন। ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ফ্রান্সে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত করে । মেটারনিকতন্ত্রের প্রভাব মুক্ত করে দেশে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার বিকাশকের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। সর্বপরি, নিম্নবর্গের বুর্জোয়া জনগণ বিপুল সংখ্যায় এই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে এবং  ফ্রান্সের কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং অধ্যাপক সহ নিম্ন বুর্জোয়া শ্রেণির মানুষ এই বিপ্লবে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বে উঠে আসে।  এইভাবে ফরাসি জনগনের সার্বিক অংশগ্রহন লক্ষ্য করে ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে  'জনতার বিপ্লব'  হিসাবে অভিহিত করেছেন।

কে কাকে কেন 'প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব' বলেছেন?

কে, কাকে, কেন 'প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব' বলেছেন? কে কাকে কেন 'প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব' বলেছেন? Whom called the 'first probable world revolution' and why? ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্স তথা ইউরোপে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে সমগ্র ইউরোপের প্রায় ১৫ টি দেশে মেটারনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী গণ আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে। পরবর্তীকালে এই পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় সমগ্র বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। আর এ কারণেই ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে ঐতিহাসিক এরিক হবস্ বম    প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়। এই প্রভাবের কথা সামনে রেখেই মেটারনিক মন্তব্য করেছিলেন, 'ফ্রান্সের সর্দি হলে ইউরোপ হাঁচতে থাকে' । 

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো। ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো। Discuss the impact of February Revolution. ১৮৪৮ সালে ফ্রান্সের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব সংঘটিত হয়। ফ্রান্স তথা ইউরোপের ইতিহাসে এই বিপ্লবের প্রভাব ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে সুদূর প্রসারী। বিশ্বব্যাপী এই প্রভাবের কারণে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ব-বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়। ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব : দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে বুর্জোয়া রাজতন্ত্রের পতন হয় এবং দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার স্বীকৃত : এই বিপ্লবের পর ফ্রান্সের জাতীয় প্রতিনিধি সভার দশ জন সদস্য কে নিয়ে গঠিত হয় কার্য নির্বাহক সমিতি। এই সমিতি সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটদানের অধিকার কে স্বীকৃতি দেয়।  চার বছর অন্তর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ৭৫০ সদস্যের এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠিত হয়। এই আইনসভায় চার বছর অন্তর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নীতি গৃহীত হয়। নিম্ন বুর্জোয়াদের ক্ষমতায়ন : ১৮৩০ স

জুলাই রাজতন্ত্র বলতে কী বোঝ?

জুলাই রাজতন্ত্র বলতে কী বোঝ? জুলাই রাজতন্ত্র বলতে কী বোঝ? ভিয়েনা সম্মেলনে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের অধিকার বংশানুক্রমিক ব্যবস্থা করা হয়েছিল যার দ্বারা জনগণের আশা আকাঙ্খাকে সমাধিষ্ঠিত হয়েছিল। ফলে জনসাধারণ ফরাসি বিপ্লবের আদর্শের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে পুনরায় জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের প্রসারে সচেষ্ট হয়। এই প্রচেষ্টার ফল স্বরূপ ১৮৩০ সালে ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্রের অবসান হয় এবং জনগণের সমর্থনে অর্লিয়েন্স বংশীয় রাজা লুই ফিলিপকে সিংহাসনে বসানো হয়। এই রাজতন্ত্র জুলাই রাজতন্ত্র নামে পরিচিত। ----------xx--------- নিকল্প প্রশ্ন  ১) জুলাই বিপ্লব কী? ২) জুলাই বিপ্লব বলতে কী বোঝ?

কাকে কেন ফ্রান্সের 'সাংবিধানিক রাজা' বলা হয়?

কাকে কেন ফ্রান্সের 'সাংবিধানিক রাজা' বলা হয়? কাকে কেন ফ্রান্সের 'সাংবিধানিক রাজা' বলা হয়? ১৮৩০ সালে ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সের অর্লিয়েন্স বংশীয় রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার পর তিনি ফ্রান্সের বিপ্লবী সংবিধানকে অনুসরণ করে একের পর এক উদারনৈতিক নীতি প্রয়োগ করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকারের সম্প্রসারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান এবং ফ্রান্সকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা - ইত্যাদির মাধ্যমে ফ্রান্সে এক ধরণের সাংবিধানিক রাজতন্ত্র গড়ে তোলেন। আর এ কারণে রাজা লুই ফিলিপকে  সাংবিধানিক রাজা  'বা  নাগরিক রাজা ' নামে অভিহিত করা হয়।

কাকে কেন ফ্রান্সের 'নাগরিক রাজা' বলা হয়?

কাকে কেন ফ্রান্সের 'নাগরিক রাজা' বলা হয়? ১৮৩০ সালে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সের অর্লিয়েন্স বংশীয় রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার পর তিনি বিপ্লবী সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে একের পর এক উদারনৈতিক নীতি গ্রহণ করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকারের সম্প্রসারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান এবং ফ্রান্সকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি জনগণের জন্য একটি জনকল্যাণমূলক শাসন বাবস্থা গড়ে তোলেন। আর এ কারণে রাজা লুই ফিলিপকে ' নাগরিক রাজা ' বা সাংবিধানিক রাজা নামে অভিহিত করা হয়।

কনসার্ট অফ ইউরোপ কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল?

‘কনসার্ট অফ ইউরোপ’ কী? ‘কনসার্ট অফ ইউরোপ’-এর উদ্দেশ্য কী ছিল? কনসার্ট অফ ইউরোপ কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? কনসার্ট অফ ইউরোপ’ কী : ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব মুক্ত ইউরোপ গড়ার উদ্দেশ্যে মেটারনিকের নেতৃত্বে ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তকে কার্যকরী করার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র যে শক্তি জোট গড়ে তুলেছিল তাকে ইউরোপীয় শক্তি সমবায় বা কনসার্ট অফ ইউরোপ নামে পরিচিত। ‘কনসার্ট অফ ইউরোপ’-এর উদ্দেশ্য : কনসার্ট অফ ইউরোপ-এর উদ্দেশ্য হল : ফরাসি বিপ্লব প্রসূত উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রতিরোধ করাকে নিশ্চিত করা।  এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিকমত কার্যকর করার জন্য জোটবদ্ধ ভাবে প্রচেষ্টা চালানো। এই কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা।  বিকল্প প্রশ্ন : ১) ‘ইউরোপীয় শক্তি সমবায়’ কী? ‘ইউরোপীয় শক্তি সমবায়’-এর উদ্দেশ্য কী ছিল?

মেটারনিক তন্ত্র কী?

  মেটারনিক তন্ত্র কী? What is Metternich System? ফরাসি বিপ্লবের ফলে ইউরোপে উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদ সহ নানান আধুনিক ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ে। নেপোলিয়নের পতনের পর অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও ইউরোপীয় রক্ষণশীলতার জনক মেটারনিক ইউরোপকে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব থেকে মুক্ত করে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে তীব্র দমনমূলক ও রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সমগ্র ইউরোপে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তা ‘ মেটারনিক তন্ত্র ’ বা ‘ মেটারনিক ব্যবস্থা ’ বা  ‘ মেটারনিক পদ্ধতি ’  নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থার ফলে ইউরোপ প্রায় ত্রিশ বছরের (১৮১৫ - ১৮৪৮) জন্য যুদ্ধজনিত অশান্তি ও অস্থিরতা থেকে মুক্ত ছিল। এটাই মেটারনিক তন্ত্রের উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব। আর এই কারণে এই সময়কালকে ঐতিহাসিক ফিশার ‘ মেটারনিক যুগ’ নাম অভিহিত করেছেন।  ---------xx------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) ‘মেটারনিক ব্যবস্থা’ বলতে কী বোঝ? ২) কোন সময়কে কেন ‘মেটারনিক যুগ’ বলা হয়। ৩) ‘মেটারনিক পদ্ধতি’ কী?

কার্লসবাড ডিক্রি কী?

কার্লসবাড ডিক্রি কী? এই ডিক্রির উদ্দেশ্য কী ছিল? কার্লসবাড ডিক্রি কী? এই ডিক্রির উদ্দেশ্য কী ছিল? কার্লসবাড ডিক্রি কী : অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক ফরাসি বিপ্লব প্রসূত উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল ভাবধারার অগ্রগতি রোধ করার জন্য সংবাদপত্র, সভাসমিতি, বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা এবং বাকস্বাধীনতার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত এই উদ্দেশ্যেই ১৮১৯ জার্মানিতে তিনি যে কালাকানুন জারি করেছিলেন তা-ই কার্লসবাড ডিক্রি নামে পরিচিত। কার্লসবাড ডিক্রির উদ্দেশ্য : সুতরাং  কার্লসবাড ডিক্রির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল  ফরাসি বিপ্লব প্রসূত উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল ভাবধারার অগ্রগতি রোধ করা এবং পুরাতনতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া। 

ক্ষতিপূরণ নীতি কী?

 ক্ষতিপূরণ নীতি কী? What is the Policy of Compensation নেপোলিয়নের পতনের পর ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত তিনটি মূল নীতির একটি হল ক্ষতিপূরণ নীতি। এই নীতির মূল কথা হল নেপোলিয়নের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং যারা নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়েছেন তাদের পুরস্কৃত করা। এই নীতি অনুযায়ী : অস্ট্রিয়াকে পোল্যান্ডের কিছু অংশ, লম্বার্ডি ভেনিশিয়া, টায়রণ এবং ইলিরিয়া অঞ্চল, প্রাশিয়াকে পোজেন,থর্ন ডানজিগ, রাইন অঞ্চল, স্যাক্সনির উত্তরাংশ ও পশ্চিমাংশ, রাশিয়াকে ফিনল্যান্ড, বেসারাবিয়া ও পোল্যান্ডের অনেকখানি অংশ এবং ইংল্যান্ডকে সিংহল, কেপি কলোনি, মাল্টাদ্বীপ, হোলি গোল্যান্ড ও আইওনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ দেওয়া হয়। --------------xx------------

শক্তিসাম্য নীতি বলতে কী বোঝ?

  শক্তিসাম্য নীতি বলতে কী বোঝ? শক্তিসাম্য নীতি বলতে কী বোঝ? নেপোলিয়নের পতনের পর ১৮১৫ সালে অনুষ্ঠিত ভিয়েনা সম্মেলনের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল শক্তিসাম্য নীতি। এই নীতির মূল কথা হল, সামরিক দিক থেকে ফ্রান্সকে দুর্বল করে এবং প্রতিবেশদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউরোপে শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করা। এই নীতি অনুযায়ী - ফ্রান্সের সেনা বাহিনী ভেঙে দিয়ে সেখানে মিত্র পক্ষের সেনাবাহিনীকে ৫ বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়।  ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সের যে সীমানা ছিল তা তাকে  দেওয়া। ফ্রান্সকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৭০ কোটি ফ্রাঁ দিতে বাধ্য করা। ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ফ্রান্সের চারপাশে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্ৰবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। -----------------xx------------------

ন্যায্য অধিকার নীতি কী?

  ন্যায্য অধিকার নীতি কী? ন্যায্য অধিকার নীতি কী?  নেপোলিয়নের পরাজয়ের পর, ১৮১৫ সালে মেটার্নিখের নেতৃত্বে ভিয়েনায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন তিনটি নীতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। এই নীতিগুলো হল - ১) ন্যায্য অধিকার নীতি, ২) ক্ষতিপূরণ নীতি, এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। যে নীতির ভিত্তিতে ভিয়েনা সম্মেলনে ফরাসি বিপ্লব ও নেপোলিয়নের উত্থানের প্রতিক্রিয়ায়  রাজ্যহারা   ইউরোপিয়  শাসকদের ( রাজবংশ)  পুনরায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাকে ন্যায্য অধিকার নীতি বলা হয়। এই নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে ফ্রান্স, স্পেন হল্যান্ড সহ বেশ কিছু রাজবংশকে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন? মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন? সম্রাট নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক শক্তিকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। মূলত এই উদ্দেশ্যেই তিনি মহাদেশীয় ব্যবস্থা ঘোষণা করেন । কিন্তু বাস্তবে এর ফল হয়েছিল ঠিক উল্টো, যা নেপোলিয়নের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। মহাদেশীয় ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণ : নিম্নলিখিত কারণে নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল? ১) ফরাসি নৌশক্তির অভাব : নেপোলিয়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউরোপের সুদীর্ঘ উপকূল পাহারা দেয়ার মত কোন নৌবাহিনী ফ্রান্সের ছিল না। ফলে নেপোলিয়ন ইউরোপে ব্রিটিশ পণ্যের প্রবেশ আটকাতে পারেননি। ২) ইংল্যান্ডের শক্তিশালী নৌবহর : উল্টোদিকে ইংল্যান্ডের ছিল শক্তিশালী নৌবহর। এই নৌহারে সাহায্যে ইংল্যান্ড অর্ডার্স ইন কাউন্সিল নামে যে পাল্টা অবরোধ ঘোষণা করেছিল তাকে সফলভাবে কার্যকর করতে পেরেছিল। ৩) ইউরোপ জুড়ে অর্থনৈতিক সংকট : নৌশক্তিতে ফ্রান্সের দুর্বলতা এবং ইংল্যান্ডের শক্তিমত্তা ইউরোপে নেপোলিয়নের অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছিল। ফলে ইউরোপের বাজারে যে নিত্য প

নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন?

নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় - কারণ ব্যাখ্যা কর। নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন? নেপোলিয়ান এক অতি সাধারন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও ফ্রান্সের সম্রাট পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। আর এটা সম্ভব হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সে যে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শের উন্মেষ ঘটেছিল, তার সৌজন্যেই। আর একারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লবের সন্তান। তবে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার আদর্শকে তিনি আজীবন সম্মান দেখাননি। নেপনিয়নকে 'বিপ্লবের সন্তান' বলার কারণ : তাঁর এই বিপ্লবের সন্তান হয়ে ওঠার পিছনে আরও যেসব সমস্ত বিষয় গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা নিয়েছিল তা হল : ১) বিপ্লবী আদর্শের বাস্তবায়ন : ১৭৮৯ সালে ফ্রান্সের সংবিধান সভা সে-দেশ থেকে সামন্ত প্রথা, ভূমিদাস প্রথা, করভি বা বেগর শ্রম, টাইট বা ধর্মকর ইত্যাদি বিলোপ ঘটিয়েছিল। নেপোলিয়ান ক্ষমতায় আসার পর বিপ্লবী সরকারের এইসব নিয়মকে সচেতন ভাবেই বহাল রেখেছিলেন। ২) বিপ্লবী আদর্শের প্রসার : শুধু বহাল রাখাই নয়, বিপ্লবের মূল মন্ত্র সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ৩) পুরাতন তন্ত্রের ধ্বংস সাধন : ফ্রান্সের

মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন? এর ফলাফল (পরিণতি) কী হয়েছিল?

 মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার ফলাফল (পরিণতি) কী হয়েছিল? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, এর ফলাফল (পরিণতি) কী হয়েছিল মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা ঃ ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে ইউরোপে তার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থচরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। এই ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন বেশ কয়েকটি ডিগ্রি জারি করেন। এগুলি হল : বার্লিন ডিক্রি (১৮০৬) : এই ডিগ্রি জারি করে নেপোলিয়ন ঘোষণা করেছিলেন কোন ব্রিটিশ পণ্য যেন ফ্রান্সে ঢুকতে না পারে। যদি এই নির্দেশ অমান্য করে কোন ব্রিটিশ পণ্য ফ্রান্সে আসে তবে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। মিনাল ডিক্রি (১৮০৭) : নেপোলিয়নের বার্লিন ডিক্রি র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইংল্যান্ড অর্ডারস ইন কাউন্সিল ঘোষণা করে। ইংল্যান্ডের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ১৮০৭ সালে নেপোলিয়ন মিলন ডিক্রি জারি করেন এবং বলেন কোন জাহাজ অর্ডার ইন কাউন্সিল অনুসারে ইংল্যান্ডের নিকট থেকে লাইসেন্স নি

মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য

মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী? নেপনিয়ন কেন এই ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন? অথবা, মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য কী ছিল? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা : ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে নীলনদের যুদ্ধে, ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ট্রাফালগারের যুদ্ধে ইংরেজ নৌবাহিনী যেভাবে ফরাসি নৌবাহিনীকে তছনছ করে দিয়েছিল তাতে নেপোলিয়ন অনুভব করেছিলেন যে, নৌযুদ্ধে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করা সহজ হবে না। এই পরিস্থিতিতে তিনি ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করে ফ্রান্সের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেটি মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা (Continental System) নামে পরিচিত। মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য : নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নেপোলিয়ন মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা জারি করেন। ইংল্যান্ডের পণ্য আমদানি ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে বন্ধ করে ইংল্যান্ডের শিল্প বাণিজ্য ধ্বংস করা। ব্রিটিশ পণ্যের সাথে ইউরোপে ফরাসি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করা। মূলত নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ চরিতার্থ করার পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছ

ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান

ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। ১৭৮৯ সালে সংঘটিত ফরাসি বিপ্লবের পিছনে দার্শনিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ফরাসি দার্শনিক মন্তেস্কু, রুশো, ভলতেয়ার, ডেনিস দিদেরো প্রমূখ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ফরাসি বিপ্লবে মন্তেস্কুর অবদান : ফরাসি দার্শনিক মন্তেস্কু বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দা স্পিরিট অফ লজ’ । এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি রাজার ‘স্বর্গীয় অধিকার তত্ত্ব’ নীতির সমালোচনা করেন। অন্যদিকে ‘দ্য পারসিয়ান লেটারস’ -এর মাধ্যমে তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আইন, শাসন ও বিচারবিভাগকে পৃথক করার দাবি জানান। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য ধনবন্টন ও ভোটাধিকারের দাবি করেন। ফরাসি বিপ্লবে ভলতেয়ারের অবদান : ভলতেয়ার ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর ফ্রান্সের একজন যুক্তিবাদী দার্শনিক। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কাঁদিদ’ -এর মাধ্যমে ফরাসি গির্জার দুর্নীতি কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস ও অনাচারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তার ব্যঙ্গাত্মক লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ ফরাসি জনগণকে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ও দুর্নীতিগ্রস্ত চার্চের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোল

ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব

ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব বা তাৎপর্য : ভিয়েনা সম্মেলনের ত্রুটি : ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এর বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। ১) যুগধর্মকে অস্বীকার :   এই যুগের চাহিদা ছিল আধুনিক গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও উদারনৈতিক ভাবধারাকে মূল্য দেওয়া। কিন্তু ভিয়েনা সম্মেলনের প্রতিনিধিরা এই যুগধর্মকে অস্বীকার করে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরে এনেছিলেন। ২) ভূখণ্ড দখল :   ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্যোক্তারা মুখে ন্যায় ও সততার কথা বললেও বাস্তবে পরাজিত দেশগুলির ভূখণ্ড দখল করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ৩) বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তির আধিপত্য :   ভিয়েনা সম্মেলন নামে মাত্রই ইউরোপীয় রাষ্ট্র বর্গের সম্মেলন ছিল। মূলত এই সম্মেলনকে সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল চারটি বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তি। এরা হলো অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, প্রাশিয়া ও ইংল্যান্ড। অন্যেরা ছিল কেবলমাত্র ‘শোভাবর্ধনকারী’ মাত্র। ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব / তাৎপর্য / প্রভাব ঃ তবে এই সমস্ত ত্রুটি সত্ত্বেও এই সম্মেলনের প্রভাব হয়েছিল সুদূর প্রসারী। কেননা, প্রথমত : ভিয়েনা সম্মেলন পরবর্তী প্রায় ৪০ বছর ইউরোপকে যুদ্ধ মুক্ত রাখতে

ভিয়েনা সম্মেলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য

ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য The real purpose of the Vienna Conference ১৮১৫ সালে অনুষ্ঠিত ভিয়েনা সম্মেলনের প্রতিনিধিদের সামনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ছিল। সমস্যাগুলি হল - ১) ইউরোপের পুনর্গঠন, ২) ফ্রান্স যাতে পুনরায় ইউরোপে শান্তি বিঘ্নিত করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা এবং তিন পোল্যান্ড ইতালি জার্মানি প্রভৃতি জাতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা। ভিয়েনা সম্মেলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য প্রকৃতপক্ষে এই সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেনি। কারণ ভিয়েনা সম্মেলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল : ফরাসি বিপ্লব ঘোষিত জাতীয়তাবাদ ও উদারনৈতিক ভাবধারা দমন করা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারা যাতে ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করা, এবং সর্বোপরি ক্ষতিপূরণের দোহাই দিয়ে চারটি বৃহৎ শক্তির (ইংল্যান্ড, রাশিয়া, রাশিয়া এবং অস্ট্রিয়া) ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল আত্মসাৎ করা। ভিয়েনা সম্মেলনের ত্রুটি : ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এর বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে : এই যুগের চাহিদা ছিল আধুনিক গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও উদারনৈতিক ভাবধারাকে মূল্য দেওয়া। কিন্তু ভিয়েনা

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ভিয়েনা সম্মেলনের মূল তিনটি নীতির নাম লেখো। ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি: ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৮১৫ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। এই সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির পিছনে তিনটি প্রধান নীতি কার্যকর ছিল। এগুলি হল-  ন্যায্য অধিকার নীতি, শক্তিসাম্য নীতি, ক্ষতিপূরণ নীতি।   ----------xx--------- ভিয়েনা সম্মেলন সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তর : ভিয়েনা সম্মেলনের (১৮১৫) পটভূমি   ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ভিয়েনা সম্মেলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব

ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর।

ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর,ফরাসি বিপ্লবের ফলাফল আলোচনা করো, ফরাসি বিপ্লবের গুরুত্ব আলোচনা কর, ফরাসি বিপ্লবের তাৎপর্য আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব বা ফলাফল : ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব ফ্রান্স তথা পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা করে। ঐতিহাসিক ডেভিড টমসনের মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ফরাসি বিপ্লবই আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসে সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ফরাসি বিপ্লবের প্রতক্ষ প্রভাব : ১) সামন্ততন্ত্রের অবসান : ফরাসি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে মধ্যযুগীয় সামন্ততন্ত্রের অবসান ঘটে। সমস্ত সামন্ততান্ত্রিক কর বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ২) প্রজাতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা : ১৭৮৯ সালে 'ব্যক্তি ও নাগরিকের অধিকার' নামক ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে ফ্রান্সে ১৭৯২ সালে রাজতন্ত্রের অবসান অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩) গির্জার আধিপত্য বিলুপ্তি : ফরাসি বিপ্লবের ফলে দুর্নীতিগ্রস্ত গির্জা ব্যবস্থা ও যাজকতন্ত্রের অবসান ঘটে। গির্জার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৪) জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা : ফরাসি বিপ্লবের ফলে ব্যক্তি ও নাগরিকের অধিকার ঘোষণাপত্র

টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব

টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব লেখো। টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব,টেনিস কোর্টের শপথ-এর ফলাফল, টেনিস কোর্টের শপথ-এর তাৎপর্য, ফ্রান্সের তৃতীয় সম্প্রদায়ের মানুষ ১৭৮৯ সালের ২০ জুন জাতীয় সভার অধিবেশন কক্ষের সামনে অবস্থিত টেনিস কোর্টে এই মর্মে শপথ নেন যে, ফ্রান্সের জন্য নতুন সংবিধান রচনা না করা পর্যন্ত এই স্থান ত্যাগ করবেন না। এই ঘটনা টেনিস কোর্টের শপথ নামে পরিচিত। টেনিস কোর্টের শপথ ফ্রান্সের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। কেননা,  আন্দোলনের চাপে পড়ে রাজা তৃতীয় সম্প্রদায়ের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন ঃ রাজা ফরাসি জনগণের তিন সম্প্রদায়ের একত্রে অধিবেশন কক্ষে বসার দাবি মেনে নেন। তৃতীয় সম্প্রদায়ের জন্য মাথা পিছু ভোটাধিকারের স্বীকার করে নেন। এই ঘটনা ফ্রান্সের ইতিহাসে বুর্জোয়া বিপ্লব নামে পরিচিতি পায়। বলা যায় মূলত এই সময় থেকে ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হয়। ------------xx---------------

📘 নবম শ্রেণি 📘 : 👩 যে অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চাও তাতে ক্লিক করো

সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে যে প্রশ্নগুলো :

ফরাসি বিপ্লবের কারণ

১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের জন্য রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারন গুলি আলোচনা কর।  অথবা, ফরাসি বিপ্লবের কারনগুলি আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লব ঃ ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব শুধু ফ্রান্সের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।এই বিপ্লব হওয়ার পিছনে ছিল দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত নানা অভাব অভিযোগ। ঐতিহাসিক লেফেভরের-এর মতে ফরাসি বিপ্লবের উৎস অনুসন্ধান করতে হবে তার অতীত ইতিহাসের মধ্যে। ফরাসি বিপ্লবের কারন ‌ফরাসি বিপ্লবের পিছনে প্রকৃতপক্ষে তিনটি কারণ দায়ী ছিল-  ‌১) রাজনৈতিক কারন ২) সামাজিক কারণ ৩) অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের  রাজনৈতিক কারন ফরাসি বিপ্লব ছিল প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বুঁরবো রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।রাজারা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তারা বংশানুক্রমিকভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। রাজাদের দুইরকম ভাবে শাসনকার্য চালাত-- ক) রাজাদের দুর্বল শাসন : ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই(১৬৪৩-১৭১৫ খ্রীঃ) বিলাস ব্যসনে মগ্ন থেকে স্বৈরাচারী ক্ষমতার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।তিনি বলতেন “আমিই রাট্র”। পরবর্তী রাজা পঞ্চদশ লুই(১৭১৫-১৭

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠন এর উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি নামে পরিচিত। এই নীতি গুলি ছিল ১) ন্যায্য অধিকার নীতি ২) ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি হল, ১ ) ন্যায্য অধিকার নীতি :  এই নীতির মূল কথা হলো ইউরোপে বিপ্লব পূর্ববর্তী রাজবংশ গুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির ফলে ফ্রান্সে বুুুরবোঁ বংশ হল্যান্ডে  অরেঞ্জ বংশ , তা নিয়ায় ভিদ্মতে  সাতবাহন বংশ এবং  মধ্য ইতালীতে  পোপ  ক্ষমতা লাভ করে। ২) ক্ষতিপূরণ নীতি :   এই নীতির মূল কথা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই নীতি প্রয়োগ করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের নেপোলিয়ন অধিকৃত ভূখণ্ড গুলি ভাগাভাগিি করে। ৩) শক্তিসাম্য নীতি :  ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না করতে তা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক্ষ্য। এই নীতি প্রয়োগ করে ফ্রান্সের সেন

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। উনবিংশ শতকে প্রথমদিকে ইতালি বিভিন্ন ছোট-বড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া ছাড়া ইতালির সব রাজ্যে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা বিদেশি শক্তিগুলিকে বিতাড়িত করে বহুধা বিভক্ত ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অসমান অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাউন্ট ক্যামিলো বেনসো ডি ক্যাভুর (১৮১০-১৮৬১ খ্রি.)। [1] মতাদর্শ: [i] বিদেশি সাহায্য গ্রহণ: বাস্তববাদী ক্যাভুর উপলব্ধি করেন যে বৈদেশিক শক্তির সাহায্য ছাড়া অস্ট্রিয়ার মতো প্রবল শক্তিকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। [ii] স্যাভয় বংশের নেতৃত্ব: ক্যাভুর  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া   স্যাভয় বংশের  অধীনে ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করার নীতি গ্রহণ করেন। [iii] পিডমন্টের শক্তিবৃদ্ধি: পিডিমন্টের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। [2] বিদেশি সাহায্য: [i] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তিকে সহায়তা:  অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তির সাহায্য লাভের উদ্দেশ্যে ক্যাভুর ক্রিমিয়ার

ইতালির ঐক্য আন্দোলন, জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করো। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইতালি ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে বিভিন্ন ছোটবড় পরস্পর-বিরোধী রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এই রাজ্য জয় করে ঐক্যবদ্ধ করলেও তাঁর পতনের পর ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে আবার বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যাৎসিনি ও  ইয়ং ইতালি আন্দোলন ঃ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির জাতীয়তাবাদীরা রাজনৈতিক ঐক্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন  ম্যাৎসিনি (১৮০৫-'৭২খ্রি.) ঐতিহাসিক গ্রেনভিলের  মতে, ম্যাৎসনি ছিলেন "ইতালির প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যের মস্তিষ্ক এবং বিধিপ্রেরিত নায়ক।" [1] প্রথম জীবন:   ম্যাৎসিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক, সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, ও বিপ্লবী। তিনি ইতালির জেনোয়া প্রদেশ জন্মগ্রহণ করেন (১৮০৫ খ্রি.)। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন্ দেখতে শুরু করেন। প্রথম জীবনে তিনি কার্বোনারি নামে একটি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দিয়ে ইতালিকে বিদেশি শাসনমুক্তত করার চেষ্টা ক

ফ্রান্সের ইতিহাসে কাকে 'রাজনৈতিক কারাগার’ (Political Prison) বলা হয় ? এবং কেন

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে বাস্তিল দুর্গ 'রাজনৈতিক কারাগার' হিসেবে পরিচিত ছিল। বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে ‘লেতর দ্য ক্যাশে’ নামক গ্রেফতারি পরোয়ানার সাহায্যে রাজকীয় কর্মচারীরা যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখত বলে একে 'রাজনৈতিক কারাগার’ বলা হয়। রাজতন্ত্রবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার অপরাধে দার্শনিক ভলতেয়ার-কেও বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখা হয়।

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির ভূমিকা আলোচনা করো  উ. ভূমিকা: ফরাসী বিপ্লবের আগে প্রায় তিন শতাব্দির বেশি সময় ইতালি পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন ছোটবড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল. এখানকার অধিকাংশ রাজ্যে বিদেশীদের আধিপত্য ছিল। ইটালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির অবদান : ইটালির ঐক্য আন্দোলনে যে তিনজন প্রবাদপ্রতিম পুরুষ অসামান্য অবদানের সাক্ষর রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীর দেশপ্রেমিক গ্যারিবল্ডি (১৮০৭-১৮৮২ খ্রি) । ১. আন্দোলনে যোগদান ও দেশত্যাগ: গ্যারিবল্ডি ১৮৩৩ সালে ম্যাটসিনির সংস্পর্শে এসে ইয়ং ইটালি দলের সদস্য হন। তিনি ম্যাৎসিনি নেতৃত্বে স্যাভয়-এর বিদ্রোহে যোগ দিলে তার প্রাণদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। ২. ১৮৪৮ এর বিপ্লব : ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইতালিতে বিপ্লব শুরু হলে, গ্যারিবোল্ডি ইতালিতে ফিরে আসেন এবং রোমে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ম্যাৎসিনি অন্যতম সহকারী হিসাবে কাজ করেন। ৩. সিসিলি ও নেপলস জয় : গ্যারিবোল্ডি ‘লাল কোর্তা’ নামে সেনাদল গঠন করে দক্ষিন ইটালির সিসিলি ও নেপলস অভিযান করেন। সেখানকার বুরব রাজবংশকে পরাস্ত করে তিনি সিসিলি ও নেপলস (১৮৬০ খ্রি:) করেন। ৪. প্রজাতন্ত্র

ফ্রান্স 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর'

কে ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’বলেছেন? কেন বলেছেন? বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ফ্রান্সকে 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’ বলেছেন। প্রথমত, তিনি বলেন ফ্রান্সে প্রচলিত করব্যবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিগ্রস্ত। দ্বিতীয়ত, ফরাসি সমাজের অধিকারভোগী শ্রেণি যাজক ও অভিজাতরা ছিলেন অধিকাংশ জমির মালিক; কিন্তু এজন্য তারা কোনো কর দিতেন না। তৃতীয়ত, অপরদিকে অধিকারহীন শ্রেণির দরিদ্র কৃষকদের সমস্ত কর দিতে হত। সর্বপরি, ত্রুটিপূর্ণ অর্থনীতির জন্য দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায় এবং দরিদ্র মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে পড়ে। এই সমস্ত কারণে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ফ্রান্সকে 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’ বলেছেন।

শিল্পবিপ্লব কথাটি সর্বপ্রথম কে কবে ব্যবহার করেন?

শিল্পবিপ্লব কথাটি সর্বপ্রথম কে কবে ব্যবহার করেন? ফরাসি সমাজবিদ ও দার্শনিক অগাস্তে ব্ল্যাংকি সর্বপ্রথম ১৮৩৭ সালে শিল্পবিপ্লব কথাটি ব্যবহার করেন। শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : শিল্পবিপ্লব কী ? শিল্পবিপ্লবের কারণ কী ? ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব হয়েছিল কেন ? শিল্পবিপ্লব কথাটি সর্বপ্রথম কে কবে ব্যবহার করেন ? শিল্পবিপ্লব কথাটি কে জনপ্রিয় করে তোলেন? তিনি কোন দেশের লোক ? কোন শিল্পকে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল ? শিল্পবিপ্লবে (বস্ত্রশিল্পকে) সাহায্য করেছিল এমন কয়েকটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম লেখো । ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লবের স্বর্ণযুগ বলা হয় কোন সম্রাটের আমলকে । জার্মানিতে কার নেতৃত্বে কবে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল ? রাশিয়ার কতসালে কার আমলে শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয় ? কোথায় সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয় ?

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন? অথবা, জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো।

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন?  অথবা,  জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো চতুর্থ ফ্রেডরিক উইলিয়ামের পরবর্তী রাজা প্রথম উইলিয়াম প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন। জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের নীতি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে অটো ফন বিসমার্ক  (১৮৬২-১৮৯০ খ্রি.) প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে প্রথম উইলিয়ামের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নলিখিত নীতি গ্রহণ করেন -  [1] রাজতন্ত্রে বিশ্বাস: রাজতন্ত্রে  বিশ্বাসী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ছিল প্রশিয়ার রাজতন্ত্রের অধীনে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং প্রাশিয়ার রাজতান্ত্রিক শাসনের ভাবধারায় জার্মানিকে প্রভাবিত করা। [2] রক্ত ও লৌহ:  বিসমার্ক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ওপর নয়, 'রক্ত ও লৌহ নীতি 'র উপর আস্থাশীল ছিলেন। তিনি প্রাশিয়ার আইন সভায় ঘোষণা করেন যে, "বিতর্ক ভোটের দ্বারা নয়, রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই জার্মানির সমস্যার সমাধান হবে।" [3] সামরিক শক্তিতে আস্থা:  বিসমার্ক উপ

ফরাসি বিপ্লবে নারীদের অবদান

ফরাসি বিপ্লবে নারীদের অবদান লেখো ফরাসি সমাজ ও পরিবারে পুরুষের মত নারীর সমান অধিকার ছিল না। তা সত্বেও তারা ফরাসি বিপ্লবে নারী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিপ্লবের শুরু থেকেই তারা পুরুষ বিপ্লবীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ফরাসি বিপ্লবে নারীদের ভূমিকা : ১) গ্রাম অঞ্চলে ফ্রান্সের রাজাদের অত্যাচার ছিলো খুব বেশি। আর বেশির ভাগ গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর মানুষের বসবাস করতো। তাই খুব সহজেই গ্রামের নারী সমাজ এই অত্যাচারের প্রতিবাদে সমর্থন দিয়েছিল। ২) ১৭৮৯ সালের শেষের দিকে ফ্রান্সের গ্রাম অঞ্চলে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। এর ফলে গ্রামের নারীরা প্রতিবাদে নেমে পড়ে, সম্রাটের বিরুদ্ধে। ৩) খাদ্যের অভাবের সময়ে প্রায় ১০০০০ মহিলা রাজ প্রাসাদ অভিযান করে, ও রুটি চাই স্লোগান দিতে থাকে। এক সময় রাজপ্রাসাদ ঘিরে রক্ষীদের হত্যা ও বন্ধি করে ফেলে। ৪) ১৭৯২ সালে টুইলারিস প্রাসাদ অবরোধের সময় (১০ই আগস্ট) এবং জাতীয় সম্মেলনে (২১ সেপ্টেম্বর ) রাজতন্ত্রের উচ্ছেদের পক্ষে নারী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। ৫) ১৭৯৩ সালে নারীসমাজের অধিকার ও প্রজাতন্ত্রের পক্ষে 'বিপ্লবী প্র

🙏 সবিনয় আবেদন 🙏

যেহেতু এই সাইটের সমস্ত শিক্ষাসামগ্রি সম্পূর্ণ বিনামুল্যে প্রদান করা হয়, সেহেতু আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।

👩 যে কোন পরিমাণ ( সর্বনিম্ন 10 টাকা / দশ টাকা ) সহায়তা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : nehacomputeraids@gmail.com