সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জোলভেরাইন কী?

জোলভেরাইন কী? জোলভেরাইন কী? ‘ জোলভেরাইন ’ হল একটি শুল্ক সংঘের নাম। ১৮১৯ সালে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে এই সংস্থা প্রাশিয়া সহ অন্যান্য জার্মান রাষ্ট্রগুলোর বাণিজ্য-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাস্পরিক সহযোগিতার জন্য গড়ে তোলা হয়। জার্মান অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন ছিলেন এর প্রধান উদ্যোক্তা। জোলভেরাইন-এর উদ্দেশ্য  হল : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একই হারে সীমান্ত শুল্ক আরোপ করা, আদায়ীকৃত অর্থ জনসংখ্যার অনুপাতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্টন করা, জার্মান ভাষাভাষী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সর্বপরি জার্মান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করার মাধ্যমে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার পথ প্রস্তুত করা। এইভাবে জোলভারেইন জার্মানির ঐক্য সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ঐতিহাসিক ম্যারিয়টের মতে, “জোলভারেইন হল জার্মানিকরণের প্রথম সোপান” । ------------xx----------- এই প্রশ্নের বিকল্প প্রশ্ন হল : কে, কী উদ্দেশ্যে ‘জোলভেরাইন’ গঠন করেছিলেন? ‘জোলভেরাইন’ গঠনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কী ছিল? জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ‘জোলভেরাইন’ গঠনের গুরুত্ব কতটা? এই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও...

কে, কী উদ্দেশ্যে ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’ গ্রহণ করেন?

কে, কী উদ্দেশ্যে ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’ গ্রহণ করেন? কে, কী উদ্দেশ্যে ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’ গ্রহণ করেন? প্রশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অটোভন বিসমার্ক প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মান ভাষাভাষী রাজ্যগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে কঠোর সামরিক অভিযানের নীতি গ্রহণ করেছিলেন, তা-ই ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অটোভন বিসমার্ক-এর ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’র প্রধান উদ্দেশ্য ছিল : জার্মান ভাষাভাষী রাজ্যগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা ,  এই ঐক্যবদ্ধ রাজ্যগুলোকে নিয়ে একটি শক্তিশালী ‘জার্মান জাতিরাষ্ট্র’ গঠন করা। এবং এই মৌলিক লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাশিয়ার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। ----------xx----------  এই বিষয়ে বিকল্প (ঘুরিয়ে আসা) প্রশ্নগুলি হল : ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’ কী? এই নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল? ‘রক্ত ও লৌহ নীতি’র প্রবক্তা কে ছিলেন? তিনি কেন এই নীতি গ্রহণ করেছিলেন? অটোভন বিসমার্ক কে ছিলেন? জার্মানির ঐক্যসাধনের জন্য তিনি যে কঠোর সামরিক নীতি গ্রহণ করেছিলেন তার নাম কী ছিল? এই বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর : ‘ লালকোর্তা’ কাদের বলা হয়? ‘প্যান জার্মানি...

হেটাইরিয়া ফিলিকে কী?

‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ কী? হেটাইরিয়া ফিলিকে কী? ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ হল বলকান জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একটি গ্রিসের গুপ্ত সমিতি। ১৮১৪ সালে ওডেসাতে চারজন গ্রীক বণিক এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। হেটাইরিয়া ফিলিকে গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তুর্কীদের বিতাড়িত করে প্রাচীন গ্রিক সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এই উদ্দেশ্য নিয়েই তারা সারাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য গোপনে প্রস্তুতি চালাতে থাকে। ১৮২০ সালের মধ্যে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ। বস্তুত, গ্রিসের স্বাধীনতা আন্দোলনে হেটাইরিয়া ফিলিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। -------------xx----------- এই বিষয়ের উপর বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ কোথায় কত সালে গড়ে তোলা হয়? ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কী ছিল? কারা কী কারণে ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ গড়ে তোলেন? গ্রিসের একটি গুপ্ত সমিতির নাম লেখো। এই সমিতির প্রধান উদ্দেশ্য কী ছিল? এই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর হল : ‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ কী ?  ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল কী হয়েছিল ? কাকে কেন ‘ রাশিয়ার মুক্তিদাতা জার ’ বলা হয় ? ‘মীর’ কাদের বলা হয়? ‘মুক...

‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ কী?

‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ কী? ‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ কী? ‘বলকান’ শব্দের অর্থ হল পর্বত। ভৌগোলিক দিক থেকে দানিয়ুব ও ইজিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী পার্বত্য অঞ্চল ‘বলকান অঞ্চল’ নামে পরিচিত। ফরাসি বিপ্লবের জাতীয়তাবাদী ভাবধারা এই অঞ্চলের বলকান জাতিগুলিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাদের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভাবনা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং গ্রীস, সার্বিয়া, মোলদাভিয়া, মন্টিনিগ্রো প্রভৃতি অঞ্চলে ব্যাপক জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়। বলকান জাতিগুলির এই স্বাধীনতা লাভের ইচ্ছা ও তৎপ্রসূত জাতীয়তাবাদী ভাবনা ‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ নামে পরিচিত। ------------xx------------- এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : ‘বলকান অঞ্চল’ বলতে কী বোঝো? কীভাবে বলকান জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠে? ‘বলকান’ কথার অর্থ কি? কোন অঞ্চল ‘বলকান’ নামে পরিচিত? ‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ গড়ে ওঠার প্রধান কারণ কি ছিল? এই বিষয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর গুলি হল : ‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ কী?  (তুমি এখন এখানে আছো) ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল কী হয়েছিল ? কাকে কেন ‘ রাশিয়ার মুক্তিদাতা জার ’ বলা হয় ? ‘মীর’ কাদের বলা হয়? ‘মুক্তির ঘোষণা’ কে কী উদ্দেশ্যে করেছিল...

কাকে কেন ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলা হত?

কাকে, কেন ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হত? কাকে কেন ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলা হত? উনবিংশ শতাব্দীর তুরস্ক-কেন্দ্রিক অটোমান সাম্রাজ্যকে ‘ ইউরোপের রুগ্ন মানুষ ’ বলে অভিহিত করা হত। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে অটোমান তুর্কিরা ভূমধ্যসাগরকে কেন্দ্র করে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাঁদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। কিন্তু উনিশ শতকে এসে  তুর্কি শাসকরা আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা থেকে সরে গিয়ে ধর্মীয় গোঁড়ামির বশবর্তী হয়ে পড়েন। ফলে ইউরোপীয় নবজাগরণ এবং তার প্রভাব-বলয় থেকে তারা দূরে সরে যায়। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যাকে হাতিয়ার করে ইউরোপ যখন সামরিক ও সামাজিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে, ঠিক তখনই তুরস্কের সামরিক বাহিনী এবং তাদের শাসনব্যবস্থা ভয়ংকর দুর্বলতার মধ্যে ঢুকে যায়। আধুনিক সমরসজ্জায় সজ্জিত ইউরোপীয় অন্যান্য শক্তিগুলির সঙ্গে এঁটে উঠতে তাঁরা ব্যর্থ হয়। আর এই কারনেই তুরস্ককে ‘ ইউরোপের রুগ্ন মানুষ ’ বলে অভিহিত করা হত। --------xx------- এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : কোন দেশকে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয়? তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয় কেন? উন...

কার্বোনারি শব্দের অর্থ কী?

কার্বোনারি শব্দের অর্থ কী? কার্বোনারির পরিচয় দাও। কার্বোনারি শব্দের অর্থ কী? কার্বোনারী শব্দের অর্থ হলো জলন্ত অঙ্গারবাহী। ভিয়েনা সম্মেলনের কর্মকর্তাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে ইতালিয়দের ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন এবং অন্যান্য আশা-আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থেকে যায়। ফলে ইতালীয়দের মনে তীব্র ক্ষোভ ও জাতীয়তাবাদী আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয়। কিন্তু অস্ট্রিয়ার শাসক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের ওপর প্রচন্ড দমনপীড়ন শুরু করলে ইতালির দেশপ্রেমিক জনগণ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত সমিতি গড়ে তুলতে শুরু করেন। এই গুপ্ত সমিতিগুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল কার্বনারি সমিতি। কার্বোনারী সমিতির উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি শাসকদের বিতাড়িত করে ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা। -------xx------- এই বিষয়ের বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : কার্বোনারি সমিতি কী? কার্বোনারি সমিতির উদ্দেশ্য কী ছিল? ইতালিতে কেন কার্বোনারি সমিতি গড়ে উঠেছিল? কার্বোনারি সমিতি গড়ে ওঠার কারণ কী ছিল? কার্বনারি কাদের বলা হয়? ইতালির ঐক্য আন্দোলন সংক্রান্ত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর : ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনি ও কাভুরের ভূমিকা কী ছিল ? ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা উল্...

ইয়ং ইতালি কী

ইয়ং ইতালি কী? ইয়ং ইতালি কী ‘ইয়ং ইতালি’ হল ইতালির একটি বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি। ১৮৩২ সালে ফ্রান্সের মার্সাই শহরে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন ‘ ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ’র প্রাণপুরুষ জোসেফ  ম্যাৎসিনি। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত যেকোনো ইতালীয় নাগরিক এই গুপ্ত সমিতির সদস্য হতে পারতেন ইয়ং ইতালির উদ্দেশ্য ছিল কোন বিদেশী শক্তির সাহায্য ছাড়াই ইতালিবাসীদের আত্মশক্তিতে বলিয়ান হয়ে অস্ট্রিয়াকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা। ----------xx---------- এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : ইয়ং ইতালি কে প্রতিষ্ঠা করেন?  ইয়ং ইতালির অন্য কী নামে পরিচিত? ইয়ং ইতালি সর্বপ্রথম কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?  ইয়ং ইতালি বা নব্য ইতালির উদ্দেশ্য কী ছিল? ইতালির ঐক্য আন্দোলন সংক্রান্ত আরো কিছু প্রশ্ন : ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনি ও কাভুরের ভূমিকা কী ছিল ? ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা উল্লেখ করো । ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়াং ইতালির অবদান লেখো । রেসরজিমেন্ট কী ? ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গারিবল্ডির ভূমিকা বর্ণনা করো । 

কে কাকে কেন ‘প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব’ বলেছেন?

কে, কাকে, কেন ‘প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব’ বলেছেন? প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব ১৮৪৮ সালে ফ্রান্সে সংঘটিত ‘ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ’ গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই বিপ্লবের উৎসস্থল ফ্রান্সের প্যারিস শহর হলেও ইউরোপের প্রায় ১৫ টি দেশে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাবে ‘ মেটারনিক ব্যবস্থা ’র বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী গণ আন্দোলনের ঢেউ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, এই বিপ্লবের সংবাদ ইউরোপ ছাড়িয়ে এশিয়া (রুশ বিপ্লব) ও আমেরিকা মহাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের, এমনকি ভারতের জনগণের মধ্যেও আলোড়ন তৈরি করেছিল। মূলত, ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্য করে ঐতিহাসিক এরিক হাবসবম  এই বিপ্লবকে ‘ প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ব বিপ্লব ’ বলে অভিহিত করেছেন। --------xx------- এই বিষয়ের বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : কাকে কেন ‘প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব’ বলা হয়?  ‘প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব’ বলতে কী বোঝো? ১৮৪৮ সালের ‘ফেব্রুয়ারি বিপ্লব’ মেটারনিক ব্যবস্থার উপর কী প্রভাব ফেলেছিল?

রিসর্জিমেন্টো কী?

রিসর্জিমেন্টো কী? রিসর্জিমেন্টো কী? ‘রিসর্জিমেন্টো’ একটি ইতালীয় শব্দ। অর্থ রেনেসাঁস বা পুনর্জন্ম। উনিশ শতকে ঐক্যবদ্ধ ইতালি গঠনের আগে সেখানকার শাসক শ্রেণি হাজার হাজার মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে জেলে কিংবা নির্বাসনে পাঠাতো। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ইতালির জনগণ একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের কথা ভাবে। এই ভাবনা বা চেতনাকে ইতালির জনগণ পুনর্জন্ম বা ‘ রিসর্জিমেন্টো’ বলে অভিহিত করেন। পিয়েডমন্ডের নাট্যকর ভিট্টোরিও আলফিয়েরি এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ইতালির ঐক্য নিশ্চিত করতে জনগনের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে নিয়ে। ------xx----- এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্নগুলি হল : রিসর্জিমেন্টো শব্দের অর্থ কী? শব্দটি কোন দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত? রিসর্জিমেন্টো বলতে কী বোঝো? ইতালিতে রিসর্জিমেন্টো ঘটার কারণ কী ছিল?

কাকে কেন 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয়?

 কাকে কেন 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয়? কাকে কেন 'মুক্তিদাতা জার' বলা হয়? Who and why is called the Liberator Czar? প্রিমিয়ার যুদ্ধে পারাজয়ের ফলে জারতন্ত্রের দুর্বলতা প্রকট হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষও জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার জার প্রথম নিকোলাসের মারা গেলে তার পুত্র দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার সিংহাসনে আরোহন করেন এবং সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব করার জন্য নানাবিধ সংস্কারমূলক কাজে হাত দেন। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ করা। ১৮৬১ সালে ১৯ শে ফেব্রুয়ারি তিনি আইন করে এই প্রথা উচ্ছেদ করেন। ফলে বিপুল সংখ্যক ভূমি দাস, যারা আসলে ক্রীতদাসের মতো জীবন যাপন করত, তারা মুক্তি পায়। আর এই এই কারণে  ঐতিহাসিক ই লিপসন জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলে অভিহিত করেছেন। -----------xx------------- এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্ন : রাশিয়ার কোন শাসক, কেন ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ করেছিলেন? রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা যার বলা হয় কেন? কে, কাকে, কেন মুক্তিদাতা জার বলে অভিহিত করেছেন? রাশিয়ার...

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

 ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়।  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...

কে কাকে কেন 'জনতার বিপ্লব' বলে অভিহিত করেছেন?

কে, কাকে, কেন 'জনতার বিপ্লব' বলে অভিহিত করেছেন? কাকে কেন 'জনতার বিপ্লব' বলা হয়? Who, whom, called the revolution of the masses? ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে  জনতার বিপ্লব  হিসাবে অভিহিত করেছেন। ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব ফ্রান্সে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত করে । মেটারনিকতন্ত্রের প্রভাব মুক্ত করে দেশে জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক ভাবধারার বিকাশকের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। সর্বপরি, নিম্নবর্গের বুর্জোয়া জনগণ বিপুল সংখ্যায় এই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে এবং  ফ্রান্সের কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং অধ্যাপক সহ নিম্ন বুর্জোয়া শ্রেণির মানুষ এই বিপ্লবে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বে উঠে আসে।  এইভাবে ফরাসি জনগনের সার্বিক অংশগ্রহন লক্ষ্য করে ঐতিহাসিক ডেভিড টমসন ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে  'জনতার বিপ্লব'  হিসাবে অভিহিত করেছেন।

কে কাকে কেন 'প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব' বলেছেন?

কে, কাকে, কেন 'প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব' বলেছেন? কে কাকে কেন 'প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব' বলেছেন? Whom called the 'first probable world revolution' and why? ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্স তথা ইউরোপে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে সমগ্র ইউরোপের প্রায় ১৫ টি দেশে মেটারনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী গণ আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে। পরবর্তীকালে এই পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় সমগ্র বিশ্বকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। আর এ কারণেই ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে ঐতিহাসিক এরিক হবস্ বম    প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়। এই প্রভাবের কথা সামনে রেখেই মেটারনিক মন্তব্য করেছিলেন, 'ফ্রান্সের সর্দি হলে ইউরোপ হাঁচতে থাকে' । 

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো। ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো। Discuss the impact of February Revolution. ১৮৪৮ সালে ফ্রান্সের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব সংঘটিত হয়। ফ্রান্স তথা ইউরোপের ইতিহাসে এই বিপ্লবের প্রভাব ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে সুদূর প্রসারী। বিশ্বব্যাপী এই প্রভাবের কারণে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ব-বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়। ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব : দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে বুর্জোয়া রাজতন্ত্রের পতন হয় এবং দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার স্বীকৃত : এই বিপ্লবের পর ফ্রান্সের জাতীয় প্রতিনিধি সভার দশ জন সদস্য কে নিয়ে গঠিত হয় কার্য নির্বাহক সমিতি। এই সমিতি সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটদানের অধিকার কে স্বীকৃতি দেয়।  চার বছর অন্তর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ৭৫০ সদস্যের এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠিত হয়। এই আইনসভায় চার বছর অন্তর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নীতি গৃহীত হয়। নিম্ন বুর্জোয়াদের ক্ষমতায়ন : ১৮...

জুলাই রাজতন্ত্র বলতে কী বোঝ?

জুলাই রাজতন্ত্র বলতে কী বোঝ? জুলাই রাজতন্ত্র বলতে কী বোঝ? ভিয়েনা সম্মেলনে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের অধিকার বংশানুক্রমিক ব্যবস্থা করা হয়েছিল যার দ্বারা জনগণের আশা আকাঙ্খাকে সমাধিষ্ঠিত হয়েছিল। ফলে জনসাধারণ ফরাসি বিপ্লবের আদর্শের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে পুনরায় জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের প্রসারে সচেষ্ট হয়। এই প্রচেষ্টার ফল স্বরূপ ১৮৩০ সালে ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে স্বৈরাচারী রাজতন্রের অবসান হয় এবং জনগণের সমর্থনে অর্লিয়েন্স বংশীয় রাজা লুই ফিলিপকে সিংহাসনে বসানো হয়। এই রাজতন্ত্র জুলাই রাজতন্ত্র নামে পরিচিত। ----------xx--------- নিকল্প প্রশ্ন  ১) জুলাই বিপ্লব কী? ২) জুলাই বিপ্লব বলতে কী বোঝ?

কাকে কেন ফ্রান্সের 'সাংবিধানিক রাজা' বলা হয়?

কাকে কেন ফ্রান্সের 'সাংবিধানিক রাজা' বলা হয়? কাকে কেন ফ্রান্সের 'সাংবিধানিক রাজা' বলা হয়? ১৮৩০ সালে ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সের অর্লিয়েন্স বংশীয় রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার পর তিনি ফ্রান্সের বিপ্লবী সংবিধানকে অনুসরণ করে একের পর এক উদারনৈতিক নীতি প্রয়োগ করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকারের সম্প্রসারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান এবং ফ্রান্সকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা - ইত্যাদির মাধ্যমে ফ্রান্সে এক ধরণের সাংবিধানিক রাজতন্ত্র গড়ে তোলেন। আর এ কারণে রাজা লুই ফিলিপকে  সাংবিধানিক রাজা  'বা  নাগরিক রাজা ' নামে অভিহিত করা হয়।

কাকে কেন ফ্রান্সের 'নাগরিক রাজা' বলা হয়?

কাকে কেন ফ্রান্সের 'নাগরিক রাজা' বলা হয়? ১৮৩০ সালে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সের অর্লিয়েন্স বংশীয় রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। সিংহাসনে বসার পর তিনি বিপ্লবী সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে একের পর এক উদারনৈতিক নীতি গ্রহণ করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকারের সম্প্রসারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান এবং ফ্রান্সকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি জনগণের জন্য একটি জনকল্যাণমূলক শাসন বাবস্থা গড়ে তোলেন। আর এ কারণে রাজা লুই ফিলিপকে ' নাগরিক রাজা ' বা সাংবিধানিক রাজা নামে অভিহিত করা হয়।

কনসার্ট অফ ইউরোপ কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল?

‘কনসার্ট অফ ইউরোপ’ কী? ‘কনসার্ট অফ ইউরোপ’-এর উদ্দেশ্য কী ছিল? কনসার্ট অফ ইউরোপ কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? কনসার্ট অফ ইউরোপ’ কী : ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব মুক্ত ইউরোপ গড়ার উদ্দেশ্যে মেটারনিকের নেতৃত্বে ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তকে কার্যকরী করার জন্য ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্র যে শক্তি জোট গড়ে তুলেছিল তাকে ইউরোপীয় শক্তি সমবায় বা কনসার্ট অফ ইউরোপ নামে পরিচিত। ‘কনসার্ট অফ ইউরোপ’-এর উদ্দেশ্য : কনসার্ট অফ ইউরোপ-এর উদ্দেশ্য হল : ফরাসি বিপ্লব প্রসূত উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রতিরোধ করাকে নিশ্চিত করা।  এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিকমত কার্যকর করার জন্য জোটবদ্ধ ভাবে প্রচেষ্টা চালানো। এই কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা।  বিকল্প প্রশ্ন : ১) ‘ইউরোপীয় শক্তি সমবায়’ কী? ‘ইউরোপীয় শক্তি সমবায়’-এর উদ্দেশ্য কী ছিল?

মেটারনিক তন্ত্র কী?

  মেটারনিক তন্ত্র কী? What is Metternich System? ফরাসি বিপ্লবের ফলে ইউরোপে উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদ সহ নানান আধুনিক ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ে। নেপোলিয়নের পতনের পর অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও ইউরোপীয় রক্ষণশীলতার জনক মেটারনিক ইউরোপকে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব থেকে মুক্ত করে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে তীব্র দমনমূলক ও রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সমগ্র ইউরোপে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তা ‘ মেটারনিক তন্ত্র ’ বা ‘ মেটারনিক ব্যবস্থা ’ বা  ‘ মেটারনিক পদ্ধতি ’  নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থার ফলে ইউরোপ প্রায় ত্রিশ বছরের (১৮১৫ - ১৮৪৮) জন্য যুদ্ধজনিত অশান্তি ও অস্থিরতা থেকে মুক্ত ছিল। এটাই মেটারনিক তন্ত্রের উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব। আর এই কারণে এই সময়কালকে ঐতিহাসিক ফিশার ‘ মেটারনিক যুগ’ নাম অভিহিত করেছেন।  ---------xx------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) ‘মেটারনিক ব্যবস্থা’ বলতে কী বোঝ? ২) কোন সময়কে কেন ‘মেটারনিক যুগ’ বলা হয়। ৩) ‘মেটারনিক পদ্ধতি’ কী?

কার্লসবাড ডিক্রি কী?

কার্লসবাড ডিক্রি কী? এই ডিক্রির উদ্দেশ্য কী ছিল? কার্লসবাড ডিক্রি কী? এই ডিক্রির উদ্দেশ্য কী ছিল? কার্লসবাড ডিক্রি কী : অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেটারনিক ফরাসি বিপ্লব প্রসূত উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল ভাবধারার অগ্রগতি রোধ করার জন্য সংবাদপত্র, সভাসমিতি, বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা এবং বাকস্বাধীনতার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত এই উদ্দেশ্যেই ১৮১৯ জার্মানিতে তিনি যে কালাকানুন জারি করেছিলেন তা-ই কার্লসবাড ডিক্রি নামে পরিচিত। কার্লসবাড ডিক্রির উদ্দেশ্য : সুতরাং  কার্লসবাড ডিক্রির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল  ফরাসি বিপ্লব প্রসূত উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল ভাবধারার অগ্রগতি রোধ করা এবং পুরাতনতন্ত্রকে সুরক্ষা দেওয়া। 

ক্ষতিপূরণ নীতি কী?

 ক্ষতিপূরণ নীতি কী? What is the Policy of Compensation নেপোলিয়নের পতনের পর ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত তিনটি মূল নীতির একটি হল ক্ষতিপূরণ নীতি। এই নীতির মূল কথা হল নেপোলিয়নের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং যারা নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়েছেন তাদের পুরস্কৃত করা। এই নীতি অনুযায়ী : অস্ট্রিয়াকে পোল্যান্ডের কিছু অংশ, লম্বার্ডি ভেনিশিয়া, টায়রণ এবং ইলিরিয়া অঞ্চল, প্রাশিয়াকে পোজেন,থর্ন ডানজিগ, রাইন অঞ্চল, স্যাক্সনির উত্তরাংশ ও পশ্চিমাংশ, রাশিয়াকে ফিনল্যান্ড, বেসারাবিয়া ও পোল্যান্ডের অনেকখানি অংশ এবং ইংল্যান্ডকে সিংহল, কেপি কলোনি, মাল্টাদ্বীপ, হোলি গোল্যান্ড ও আইওনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ দেওয়া হয়। --------------xx------------

শক্তিসাম্য নীতি বলতে কী বোঝ?

  শক্তিসাম্য নীতি বলতে কী বোঝ? শক্তিসাম্য নীতি বলতে কী বোঝ? নেপোলিয়নের পতনের পর ১৮১৫ সালে অনুষ্ঠিত ভিয়েনা সম্মেলনের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল শক্তিসাম্য নীতি। এই নীতির মূল কথা হল, সামরিক দিক থেকে ফ্রান্সকে দুর্বল করে এবং প্রতিবেশদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ইউরোপে শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করা। এই নীতি অনুযায়ী - ফ্রান্সের সেনা বাহিনী ভেঙে দিয়ে সেখানে মিত্র পক্ষের সেনাবাহিনীকে ৫ বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়।  ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সের যে সীমানা ছিল তা তাকে  দেওয়া। ফ্রান্সকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৭০ কোটি ফ্রাঁ দিতে বাধ্য করা। ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য ফ্রান্সের চারপাশে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্ৰবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। -----------------xx------------------

ন্যায্য অধিকার নীতি কী?

  ন্যায্য অধিকার নীতি কী? ন্যায্য অধিকার নীতি কী?  নেপোলিয়নের পরাজয়ের পর, ১৮১৫ সালে মেটার্নিখের নেতৃত্বে ভিয়েনায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন তিনটি নীতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। এই নীতিগুলো হল - ১) ন্যায্য অধিকার নীতি, ২) ক্ষতিপূরণ নীতি, এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। যে নীতির ভিত্তিতে ভিয়েনা সম্মেলনে ফরাসি বিপ্লব ও নেপোলিয়নের উত্থানের প্রতিক্রিয়ায়  রাজ্যহারা   ইউরোপিয়  শাসকদের ( রাজবংশ)  পুনরায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাকে ন্যায্য অধিকার নীতি বলা হয়। এই নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে ফ্রান্স, স্পেন হল্যান্ড সহ বেশ কিছু রাজবংশকে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন? মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন? সম্রাট নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক শক্তিকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। মূলত এই উদ্দেশ্যেই তিনি মহাদেশীয় ব্যবস্থা ঘোষণা করেন । কিন্তু বাস্তবে এর ফল হয়েছিল ঠিক উল্টো, যা নেপোলিয়নের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। মহাদেশীয় ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণ : নিম্নলিখিত কারণে নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল? ১) ফরাসি নৌশক্তির অভাব : নেপোলিয়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউরোপের সুদীর্ঘ উপকূল পাহারা দেয়ার মত কোন নৌবাহিনী ফ্রান্সের ছিল না। ফলে নেপোলিয়ন ইউরোপে ব্রিটিশ পণ্যের প্রবেশ আটকাতে পারেননি। ২) ইংল্যান্ডের শক্তিশালী নৌবহর : উল্টোদিকে ইংল্যান্ডের ছিল শক্তিশালী নৌবহর। এই নৌহারে সাহায্যে ইংল্যান্ড অর্ডার্স ইন কাউন্সিল নামে যে পাল্টা অবরোধ ঘোষণা করেছিল তাকে সফলভাবে কার্যকর করতে পেরেছিল। ৩) ইউরোপ জুড়ে অর্থনৈতিক সংকট : নৌশক্তিতে ফ্রান্সের দুর্বলতা এবং ইংল্যান্ডের শক্তিমত্তা ইউরোপে নেপোলিয়নের অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছিল। ফলে ইউরোপের বাজারে যে নিত্য প...

নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন?

নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় - কারণ ব্যাখ্যা কর। নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন? নেপোলিয়ান এক অতি সাধারন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও ফ্রান্সের সম্রাট পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। আর এটা সম্ভব হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সে যে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শের উন্মেষ ঘটেছিল, তার সৌজন্যেই। আর একারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লবের সন্তান। তবে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার আদর্শকে তিনি আজীবন সম্মান দেখাননি। নেপনিয়নকে 'বিপ্লবের সন্তান' বলার কারণ : তাঁর এই বিপ্লবের সন্তান হয়ে ওঠার পিছনে আরও যেসব সমস্ত বিষয় গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা নিয়েছিল তা হল : ১) বিপ্লবী আদর্শের বাস্তবায়ন : ১৭৮৯ সালে ফ্রান্সের সংবিধান সভা সে-দেশ থেকে সামন্ত প্রথা, ভূমিদাস প্রথা, করভি বা বেগর শ্রম, টাইট বা ধর্মকর ইত্যাদি বিলোপ ঘটিয়েছিল। নেপোলিয়ান ক্ষমতায় আসার পর বিপ্লবী সরকারের এইসব নিয়মকে সচেতন ভাবেই বহাল রেখেছিলেন। ২) বিপ্লবী আদর্শের প্রসার : শুধু বহাল রাখাই নয়, বিপ্লবের মূল মন্ত্র সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ৩) পুরাতন তন্ত্রের ধ্বংস সাধন : ফ্রান্সের ...

মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন? এর ফলাফল (পরিণতি) কী হয়েছিল?

 মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার ফলাফল (পরিণতি) কী হয়েছিল? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, এর ফলাফল (পরিণতি) কী হয়েছিল মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা ঃ ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে ইউরোপে তার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থচরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। এই ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য নেপোলিয়ন বেশ কয়েকটি ডিগ্রি জারি করেন। এগুলি হল : বার্লিন ডিক্রি (১৮০৬) : এই ডিগ্রি জারি করে নেপোলিয়ন ঘোষণা করেছিলেন কোন ব্রিটিশ পণ্য যেন ফ্রান্সে ঢুকতে না পারে। যদি এই নির্দেশ অমান্য করে কোন ব্রিটিশ পণ্য ফ্রান্সে আসে তবে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। মিনাল ডিক্রি (১৮০৭) : নেপোলিয়নের বার্লিন ডিক্রি র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইংল্যান্ড অর্ডারস ইন কাউন্সিল ঘোষণা করে। ইংল্যান্ডের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ১৮০৭ সালে নেপোলিয়ন মিলন ডিক্রি জারি করেন এবং বলেন কোন জাহাজ অর্ডার ইন কাউন্সিল অনুসারে ইংল্যান্ডের নিকট থেকে লা...

মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য

মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী? নেপনিয়ন কেন এই ব্যবস্থা ঘোষণা করেছিলেন? অথবা, মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য কী ছিল? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী? মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা : ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে নীলনদের যুদ্ধে, ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ট্রাফালগারের যুদ্ধে ইংরেজ নৌবাহিনী যেভাবে ফরাসি নৌবাহিনীকে তছনছ করে দিয়েছিল তাতে নেপোলিয়ন অনুভব করেছিলেন যে, নৌযুদ্ধে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করা সহজ হবে না। এই পরিস্থিতিতে তিনি ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করে ফ্রান্সের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেটি মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা (Continental System) নামে পরিচিত। মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য : নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নেপোলিয়ন মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা জারি করেন। ইংল্যান্ডের পণ্য আমদানি ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে বন্ধ করে ইংল্যান্ডের শিল্প বাণিজ্য ধ্বংস করা। ব্রিটিশ পণ্যের সাথে ইউরোপে ফরাসি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি করা। মূলত নেপোলিয়নের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ চরিতার্থ করার পথে সবচেয়ে বড় বা...

ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান

ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের অবদান ফরাসি বিপ্লবে দার্শনিকদের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। ১৭৮৯ সালে সংঘটিত ফরাসি বিপ্লবের পিছনে দার্শনিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ফরাসি দার্শনিক মন্তেস্কু, রুশো, ভলতেয়ার, ডেনিস দিদেরো প্রমূখ এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ফরাসি বিপ্লবে মন্তেস্কুর অবদান : ফরাসি দার্শনিক মন্তেস্কু বিখ্যাত গ্রন্থ ‘দা স্পিরিট অফ লজ’ । এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি রাজার ‘স্বর্গীয় অধিকার তত্ত্ব’ নীতির সমালোচনা করেন। অন্যদিকে ‘দ্য পারসিয়ান লেটারস’ -এর মাধ্যমে তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আইন, শাসন ও বিচারবিভাগকে পৃথক করার দাবি জানান। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য ধনবন্টন ও ভোটাধিকারের দাবি করেন। ফরাসি বিপ্লবে ভলতেয়ারের অবদান : ভলতেয়ার ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর ফ্রান্সের একজন যুক্তিবাদী দার্শনিক। তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কাঁদিদ’ -এর মাধ্যমে ফরাসি গির্জার দুর্নীতি কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস ও অনাচারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তার ব্যঙ্গাত্মক লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ ফরাসি জনগণকে স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র ও দুর্নীতিগ্রস্ত চার্চের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোল...

📘 নবম শ্রেণি 📘 : 👩 যে অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চাও তাতে ক্লিক করো

------------------------------------------------------------------------

OUR BOOKS FOR WBBSE & WBCHSE

OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)

------------------------------------------------------------------------

সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে যে প্রশ্নগুলো :

ফরাসি বিপ্লবের কারণ

১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের জন্য রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারন গুলি আলোচনা কর।  অথবা, ফরাসি বিপ্লবের কারনগুলি আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লব ঃ ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব শুধু ফ্রান্সের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।এই বিপ্লব হওয়ার পিছনে ছিল দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত নানা অভাব অভিযোগ। ঐতিহাসিক লেফেভরের-এর মতে ফরাসি বিপ্লবের উৎস অনুসন্ধান করতে হবে তার অতীত ইতিহাসের মধ্যে। ফরাসি বিপ্লবের কারন ‌ফরাসি বিপ্লবের পিছনে প্রকৃতপক্ষে তিনটি কারণ দায়ী ছিল-  ‌১) রাজনৈতিক কারন ২) সামাজিক কারণ ৩) অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের  রাজনৈতিক কারন ফরাসি বিপ্লব ছিল প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বুঁরবো রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।রাজারা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তারা বংশানুক্রমিকভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। রাজাদের দুইরকম ভাবে শাসনকার্য চালাত-- ক) রাজাদের দুর্বল শাসন : ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই(১৬৪৩-১৭১৫ খ্রীঃ) বিলাস ব্যসনে মগ্ন থেকে স্বৈরাচারী ক্ষমতার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।তিনি বলতেন “আমিই রাট্র”। পরবর্তী রাজা...

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠন এর উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি নামে পরিচিত। এই নীতি গুলি ছিল ১) ন্যায্য অধিকার নীতি ২) ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি হল, ১ ) ন্যায্য অধিকার নীতি :  এই নীতির মূল কথা হলো ইউরোপে বিপ্লব পূর্ববর্তী রাজবংশ গুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির ফলে ফ্রান্সে বুুুরবোঁ বংশ হল্যান্ডে  অরেঞ্জ বংশ , তা নিয়ায় ভিদ্মতে  সাতবাহন বংশ এবং  মধ্য ইতালীতে  পোপ  ক্ষমতা লাভ করে। ২) ক্ষতিপূরণ নীতি :   এই নীতির মূল কথা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই নীতি প্রয়োগ করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের নেপোলিয়ন অধিকৃত ভূখণ্ড গুলি ভাগাভাগিি করে। ৩) শক্তিসাম্য নীতি :  ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না করতে তা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক...

ইতালির ঐক্য আন্দোলন, জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করো। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইতালি ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে বিভিন্ন ছোটবড় পরস্পর-বিরোধী রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এই রাজ্য জয় করে ঐক্যবদ্ধ করলেও তাঁর পতনের পর ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে আবার বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যাৎসিনি ও  ইয়ং ইতালি আন্দোলন ঃ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির জাতীয়তাবাদীরা রাজনৈতিক ঐক্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন  ম্যাৎসিনি (১৮০৫-'৭২খ্রি.) ঐতিহাসিক গ্রেনভিলের  মতে, ম্যাৎসনি ছিলেন "ইতালির প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যের মস্তিষ্ক এবং বিধিপ্রেরিত নায়ক।" [1] প্রথম জীবন:   ম্যাৎসিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক, সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, ও বিপ্লবী। তিনি ইতালির জেনোয়া প্রদেশ জন্মগ্রহণ করেন (১৮০৫ খ্রি.)। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন্ দেখতে শুরু করেন। প্রথম জীবনে তিনি কার্বোনারি নামে একটি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দিয়ে ইতালিকে বিদেশি শাসনমুক্তত কর...

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। উনবিংশ শতকে প্রথমদিকে ইতালি বিভিন্ন ছোট-বড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া ছাড়া ইতালির সব রাজ্যে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা বিদেশি শক্তিগুলিকে বিতাড়িত করে বহুধা বিভক্ত ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অসমান অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাউন্ট ক্যামিলো বেনসো ডি ক্যাভুর (১৮১০-১৮৬১ খ্রি.)। [1] মতাদর্শ: [i] বিদেশি সাহায্য গ্রহণ: বাস্তববাদী ক্যাভুর উপলব্ধি করেন যে বৈদেশিক শক্তির সাহায্য ছাড়া অস্ট্রিয়ার মতো প্রবল শক্তিকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। [ii] স্যাভয় বংশের নেতৃত্ব: ক্যাভুর  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া   স্যাভয় বংশের  অধীনে ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করার নীতি গ্রহণ করেন। [iii] পিডমন্টের শক্তিবৃদ্ধি: পিডিমন্টের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। [2] বিদেশি সাহায্য: [i] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তিকে সহায়তা:  অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশি শ...

কোড নেপোলিয়ন

কোড নেপোলিয়ন বলতে কী বোঝো? কোড নেপোলিয়ন-এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কীভাবে ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ রক্ষা করেন? কোড নেপোলিয়ন কী ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচিগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ হল ‘কোড নেপোলিয়ন’ (Code Napoleon) বা আইনবিধি প্রবর্তন। তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানা স্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক ও পরস্পরবিরোধী আইন প্রচলিত ছিল। নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে ৪ জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে নিয়ে একটি পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে আইনবিধি সংকলিত হয়, তা ‘কোড নেপোলিয়ন’  নামে খ্যাত। কোড নেপোলিয়নের বৈশিষ্ট্য ঃ ২২৮৭টি বিধি সংবলিত এই আইন সংহিতা তিন ভাগে বিভক্ত ছিল— দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং বাণিজ্যিক আইন। আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতি ছিল এই আইন সংহিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।  নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ, প্রাকৃতিক আইন ও রোমান আইনের সমন্বয় সাধন করে কোড নেপোলিয়ন রচনা করেছিলেন। প্রথমত: এই আইনের ফল...

ফ্রান্সের ইতিহাসে কাকে 'রাজনৈতিক কারাগার’ (Political Prison) বলা হয় ? এবং কেন

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে বাস্তিল দুর্গ 'রাজনৈতিক কারাগার' হিসেবে পরিচিত ছিল। বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে ‘লেতর দ্য ক্যাশে’ নামক গ্রেফতারি পরোয়ানার সাহায্যে রাজকীয় কর্মচারীরা যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখত বলে একে 'রাজনৈতিক কারাগার’ বলা হয়। রাজতন্ত্রবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার অপরাধে দার্শনিক ভলতেয়ার-কেও বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখা হয়।

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

 ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়।  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...

ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব হয়েছিল কেন?

ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের কারণ ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষি বিপ্লব : নবজাগরণের ফলে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়। নতুন ও উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে। এই কৃষি বিপ্লব শিল্পবিপ্লবকে কাঁচামাল দিয়ে সাহায্য করেছিল। ২) সুলভ শ্রমিক : ষোড়শ শতক থেকে ইংল্যান্ডে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই বর্ধিত জনসংখ্যা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সুলভ শ্রমিকের যোগান দিয়েছিল। ৩) মূলধনের প্রাচুর্য : ১৭ শতক থেকে ইংল্যান্ড বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। এই মুনাফা শিল্পের প্রয়োজনীয় মূলধনের যোগান দিয়েছিল। ৪) বাজার : ঔপনিবেশিক দ্বন্দ্বে জয়লাভের ফলের শিল্প পণ্যের বাজার পেতে সুবিধে হয়েছিল। ৫) খনিজ : শিল্পের প্রয়োজনীয় খনিজসম্পদ যেমন লোহা ও কয়লা ইংল্যান্ডে প্রচুর পাওয়া যেত। ৬) উন্নত পরিবহন : নবজাগরণ ও নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। এই পরিবহন ব্যবস্থা শিল্পবিপ্লবে সাহায্য করেছিল। এই সমস্ত অনুকূল পরিবেশ ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করেছি...

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন? অথবা, জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো।

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন?  অথবা,  জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো চতুর্থ ফ্রেডরিক উইলিয়ামের পরবর্তী রাজা প্রথম উইলিয়াম প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন। জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের নীতি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে অটো ফন বিসমার্ক  (১৮৬২-১৮৯০ খ্রি.) প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে প্রথম উইলিয়ামের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নলিখিত নীতি গ্রহণ করেন -  [1] রাজতন্ত্রে বিশ্বাস: রাজতন্ত্রে  বিশ্বাসী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ছিল প্রশিয়ার রাজতন্ত্রের অধীনে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং প্রাশিয়ার রাজতান্ত্রিক শাসনের ভাবধারায় জার্মানিকে প্রভাবিত করা। [2] রক্ত ও লৌহ:  বিসমার্ক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ওপর নয়, 'রক্ত ও লৌহ নীতি 'র উপর আস্থাশীল ছিলেন। তিনি প্রাশিয়ার আইন সভায় ঘোষণা করেন যে, "বিতর্ক ভোটের দ্বারা নয়, রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই জার্মানির সমস্যার সমাধান হবে।" [3] সামরিক ...

ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের (১৮৪৮ খ্রি.) কারণ

ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের (১৮৪৮ খ্রি.) কারণ গুলি কি ছিল? দশম চার্লস রাজত্বকালে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের মাত্র তিনদিনের রক্তপাতহীন জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্স আলিয়েন বংশের সূচনা হয় এবং এই বংশের রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসন লাভ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র 'জুলাই রাজতন্ত্র' নামে পরিচিত। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে লুই ফিলিপ তথা জুলাই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং ফ্রান্সে 'দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের কারণ: বিভিন্ন ঐতিহাসিক ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের জন্য বিভিন্ন কারণকে দায়ী। যেমন- [1] বুর্জোয়াদের আধিপত্য: লুই ফিলিপ একটি বুর্জোয়া পার্লামেন্টের দ্বারা রাজপদে নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর দেশে বুর্জোয়াদের স্বার্থরক্ষার ব্যবস্থা হয়। ফলে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। [2] জনসমর্থনের অভাব: বিভিন্ন কারণে লুই ফিলিপের জনসমর্থনের অভাব ছিল। যেমন- [i] নেপোলিয়নের অনুগামীরা তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র লুই বোনাপার্টকে সিংহাসনে বসাতে চেয়েছিল। [ii] ন্যায্য অধিকার নীতির সমর্থকরা দশম চার্লসের উত্তরাধিকারী ডিউক অব বেরিকে সিংহাসনের বৈধ দাবিদার বলে মনে করতেন।...