কাকে, কেন ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হত?
কাকে কেন ইউরোপের রুগ্ন মানুষ বলা হত? |
উনবিংশ শতাব্দীর তুরস্ক-কেন্দ্রিক অটোমান সাম্রাজ্যকে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলে অভিহিত করা হত।
ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে অটোমান তুর্কিরা ভূমধ্যসাগরকে কেন্দ্র করে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাঁদের সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। কিন্তু উনিশ শতকে এসে তুর্কি শাসকরা আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা থেকে সরে গিয়ে ধর্মীয় গোঁড়ামির বশবর্তী হয়ে পড়েন। ফলে ইউরোপীয় নবজাগরণ এবং তার প্রভাব-বলয় থেকে তারা দূরে সরে যায়। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যাকে হাতিয়ার করে ইউরোপ যখন সামরিক ও সামাজিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠছে, ঠিক তখনই তুরস্কের সামরিক বাহিনী এবং তাদের শাসনব্যবস্থা ভয়ংকর দুর্বলতার মধ্যে ঢুকে যায়। আধুনিক সমরসজ্জায় সজ্জিত ইউরোপীয় অন্যান্য শক্তিগুলির সঙ্গে এঁটে উঠতে তাঁরা ব্যর্থ হয়। আর এই কারনেই তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলে অভিহিত করা হত।
--------xx-------
এই বিষয়ে বিকল্প প্রশ্নগুলি হল :
- কোন দেশকে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয়?
- তুরস্ককে ‘ইউরোপের রুগ্ন মানুষ’ বলা হয় কেন?
- উনবিংশ শতাব্দীতে তুরস্ক সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়েছিল কেন?
এই অধ্যায়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরগুলো হল :
- ‘বলকান জাতীয়তাবাদ’ কী?
- ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল কী হয়েছিল?
- কাকে কেন ‘রাশিয়ার মুক্তিদাতা জার’ বলা হয়?
- ‘মীর’ কাদের বলা হয়?
- ‘মুক্তির ঘোষণা’ কে কী উদ্দেশ্যে করেছিলেন?
- ‘হেটাইরিয়া ফিলিকে’ কী?
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন