ক্ষতিপূরণ নীতি কী? What is the Policy of Compensation নেপোলিয়নের পতনের পর ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত তিনটি মূল নীতির একটি হল ক্ষতিপূরণ নীতি। এই নীতির মূল কথা হল নেপোলিয়নের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা এবং যারা নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়েছেন তাদের পুরস্কৃত করা। এই নীতি অনুযায়ী : অস্ট্রিয়াকে পোল্যান্ডের কিছু অংশ, লম্বার্ডি ভেনিশিয়া, টায়রণ এবং ইলিরিয়া অঞ্চল, প্রাশিয়াকে পোজেন,থর্ন ডানজিগ, রাইন অঞ্চল, স্যাক্সনির উত্তরাংশ ও পশ্চিমাংশ, রাশিয়াকে ফিনল্যান্ড, বেসারাবিয়া ও পোল্যান্ডের অনেকখানি অংশ এবং ইংল্যান্ডকে সিংহল, কেপি কলোনি, মাল্টাদ্বীপ, হোলি গোল্যান্ড ও আইওনিয়ান দ্বীপপুঞ্জ দেওয়া হয়। --------------xx------------
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...