ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো
ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি
১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠন এর উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি নামে পরিচিত। এই নীতি গুলি ছিল ১) ন্যায্য অধিকার নীতি ২) ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি।
ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি হল,
১) ন্যায্য অধিকার নীতি :
এই নীতির মূল কথা হলো ইউরোপে বিপ্লব পূর্ববর্তী রাজবংশ গুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির ফলে ফ্রান্সে বুুুরবোঁ বংশ হল্যান্ডে অরেঞ্জ বংশ , তা নিয়ায় ভিদ্মতে সাতবাহন বংশ এবং মধ্য ইতালীতে পোপ ক্ষমতা লাভ করে।
২) ক্ষতিপূরণ নীতি :
এই নীতির মূল কথা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই নীতি প্রয়োগ করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের নেপোলিয়ন অধিকৃত ভূখণ্ড গুলি ভাগাভাগিি করে।
৩) শক্তিসাম্য নীতি :
ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না করতে তা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক্ষ্য। এই নীতি প্রয়োগ করে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী ভেঙে দেয়া হয় এবং ফ্রান্সকে ৭০ কোটি ফ্রাংক ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হয়।
মূল্যায়ন :
মনে রাখতে হবে, এই নীতি প্রয়োগ করে ভিয়েনা সম্মেলনের চার বিজয়ী শক্তি ফ্রান্সকে আর্থিক ও ভৌগোলিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। এর ফলে প্রায় চল্লিশ বছরের জন্য ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ফরাসি বিপ্লব প্রসূত সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শ এবং গণতান্ত্রিক আদর্শ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
--------------xx-------------
ভিয়েনা সম্মেলন সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তর :
- ভিয়েনা সম্মেলনের (১৮১৫) পটভূমি
- ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি (প্রশ্নের মান - ৪)
- ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি (প্রশ্নের মান - ২)
অন্বেষা দাস
উত্তরমুছুনThanks 😊
উত্তরমুছুনঅত ভালো হয়নি উত্তর
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন