ভিয়েনা সম্মেলনের (১৮১৫) পটভূমি কী ছিলো?
সম্রাট নেপোলিয়ন লাইপজিগের যুদ্ধে (১৮১৩) চতুর্থ শক্তিজোটের কাছে পরাজিত হয়ে এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হন। এর পর বিজয়ী শক্তিবর্গ ভিয়েনায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মিলিত হয়। এই সম্মেলন ভিয়েনা সম্মেলন নামে পরিচিত।
ভিয়েনা সম্মেলনের পটভূমি / প্রেক্ষাপট
[১] জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা : নেপোলিয়নের পতনের পর বিজয়ী ইউরোপীয় রাজতান্ত্রিক শক্তিগুলো নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করে এবং স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রকে শক্তিশালী করার চেষ্টা শুরু করে।
[২] ইউরোপের পুনর্গঠন : ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন তীব্র সাম্রাজ্যবাদী নীতি গ্রহণ করে ইউরোপের বিভিন্ন ভুখন্ড দখল করে। তাঁর পতনের (১৮১৪) পর সেই সব বিজিত স্থান পুনর্দখল করে ইউরোপের মানচিত্র পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ শুরু করে।
[৩] ন্যায্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠা : নেপোলিয়ন ইউরোপের বিভিন্ন শাসককে সিংহাসনচ্যুত করেছিলেন। এখন নেপোলিয়ন-বিজয়ী শক্তিবর্গ সেসব দেশের সিংহাসনে ন্যায্য রাজবংশগুলিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।
উপসংহার:
সুতরাং নেপোলিয়নের শাসনকালে ইউরোপের মানচিত্রে যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা ভিয়েনা সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যই (পটভূমিতেই) ভিয়েনা সম্মেলন আহবান করা হয়। যদিও বিজয়ী নেতৃবৃন্দ ন্যায় ও সততা কথা মুখে বললেও বহুক্ষেত্রে তাঁরা সেখান থেকে সরে আসেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন