সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।
১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

Discuss the impact of February Revolution.

১৮৪৮ সালে ফ্রান্সের ফেব্রুয়ারি বিপ্লব সংঘটিত হয়। ফ্রান্স তথা ইউরোপের ইতিহাসে এই বিপ্লবের প্রভাব ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে সুদূর প্রসারী। বিশ্বব্যাপী এই প্রভাবের কারণে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ব-বিপ্লব বলে অভিহিত করা হয়।

ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাব :

  1. দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে বুর্জোয়া রাজতন্ত্রের পতন হয় এবং দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
  2. প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার স্বীকৃত : এই বিপ্লবের পর ফ্রান্সের জাতীয় প্রতিনিধি সভার দশ জন সদস্য কে নিয়ে গঠিত হয় কার্য নির্বাহক সমিতি। এই সমিতি সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটদানের অধিকার কে স্বীকৃতি দেয়। 
  3. চার বছর অন্তর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : সার্বিক প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে ৭৫০ সদস্যের এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠিত হয়। এই আইনসভায় চার বছর অন্তর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নীতি গৃহীত হয়।
  4. নিম্ন বুর্জোয়াদের ক্ষমতায়ন : ১৮৩০ সালে জুলাই বিপ্লবের ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতা অভিজাতাদের হাত থেকে উচ্চ বর্জ্যুয়াদের হাতে চলে যায়। আর ১৮৪৮ সালে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে সেই ক্ষমতা নিম্নবর যাদের হাতে চলে যায়।
  5. মেটারনিকতন্ত্রের প্রভাব : ফ্রান্স মেটারনিকতন্ত্রের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়।
  6. কবি সাহিত্যিকদের নেতৃত্ব : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের যোগ দিয়ে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক এবং অধ্যাপকরা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ফলে ফেব্রুয়ারি বিপ্লব জনতার বিপ্লব হিসাবে চিহ্নিত হয়। 

ইউরোপে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব :

  1. সামন্ততন্ত্রের পতন : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের পতন সুনিশ্চিত হয়। এরই সূত্র ধরে ভূমিদাস প্রথা বিলুপ্ত হতে শুরু করে।
  2. প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাবে প্রায় ১৫ টি ইউরোপীয় দেশে মেটানিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন শুরু হয়; যা পরবর্তীকালে ইউরোপ ছাড়িয়ে প্রায় সমগ্র বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে। ঐতিহাসিক এরিক হবসবম এই প্রভাবের কথা মাথায় রেখে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবকে প্রথম সম্ভাব্য বিশ্ববিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন।
  3. ঐক্য আন্দোলনের সূত্রপাত : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাবে জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলে উদারনৈতিক আন্দোলন শুরু হয়। এরই সূত্র ধরে জার্মানির ঐক্য আন্দোলনের সুপ্রভাত ঘটে। 
  4. ইতালির ঐক্য আন্দোলন গতি পায : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ইতালির বিভিন্ন জায়গায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে জোয়ার আসে। ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুরের হাত ধরে ইতালির ঐক্য আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
  5. জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু : ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের প্রভাবে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন আছড়ে পড়ে। স্পেন পর্তুগাল নরওয়ে সুইজারল্যান্ড এমনকি ইংল্যান্ডেও জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়। 

মূল্যায়ন :

বস্তুত ১৮৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফুলকি গোটা ইউরোপকে আলোড়িত ও আলোকিত করেছিল। ঐতিহাসিক লজ (Lodeg) এর ভাষায়, " The Spark that flew from the France furnace fell on unsound timbers of Europe and caused a great conflagration"*. তবে মনে রাখতে হবে, ইউরোপের জাতীয়তাবাদী আশা-আকাঙ্ক্ষা এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হলেও তা পূর্ণ হতে আরো কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

* ফ্রান্সের চুল্লি থেকে উড়ে আসা স্ফুলিঙ্গ ইউরোপের অস্থির কাঠের উপর পড়েছিল এবং একটি বড় দাবানল সৃষ্টি করেছিল।

মন্তব্যসমূহ

📘 নবম শ্রেণি 📘 : 👩 যে অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চাও তাতে ক্লিক করো

সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে যে প্রশ্নগুলো :

ফরাসি বিপ্লবের কারণ

১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের জন্য রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারন গুলি আলোচনা কর।  অথবা, ফরাসি বিপ্লবের কারনগুলি আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লব ঃ ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব শুধু ফ্রান্সের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।এই বিপ্লব হওয়ার পিছনে ছিল দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত নানা অভাব অভিযোগ। ঐতিহাসিক লেফেভরের-এর মতে ফরাসি বিপ্লবের উৎস অনুসন্ধান করতে হবে তার অতীত ইতিহাসের মধ্যে। ফরাসি বিপ্লবের কারন ‌ফরাসি বিপ্লবের পিছনে প্রকৃতপক্ষে তিনটি কারণ দায়ী ছিল-  ‌১) রাজনৈতিক কারন ২) সামাজিক কারণ ৩) অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের  রাজনৈতিক কারন ফরাসি বিপ্লব ছিল প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বুঁরবো রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।রাজারা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তারা বংশানুক্রমিকভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। রাজাদের দুইরকম ভাবে শাসনকার্য চালাত-- ক) রাজাদের দুর্বল শাসন : ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই(১৬৪৩-১৭১৫ খ্রীঃ) বিলাস ব্যসনে মগ্ন থেকে স্বৈরাচারী ক্ষমতার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।তিনি বলতেন “আমিই রাট্র”। পরবর্তী রাজা পঞ্চদশ লুই(১৭১৫-১৭

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠন এর উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি নামে পরিচিত। এই নীতি গুলি ছিল ১) ন্যায্য অধিকার নীতি ২) ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি হল, ১ ) ন্যায্য অধিকার নীতি :  এই নীতির মূল কথা হলো ইউরোপে বিপ্লব পূর্ববর্তী রাজবংশ গুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির ফলে ফ্রান্সে বুুুরবোঁ বংশ হল্যান্ডে  অরেঞ্জ বংশ , তা নিয়ায় ভিদ্মতে  সাতবাহন বংশ এবং  মধ্য ইতালীতে  পোপ  ক্ষমতা লাভ করে। ২) ক্ষতিপূরণ নীতি :   এই নীতির মূল কথা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই নীতি প্রয়োগ করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের নেপোলিয়ন অধিকৃত ভূখণ্ড গুলি ভাগাভাগিি করে। ৩) শক্তিসাম্য নীতি :  ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না করতে তা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক্ষ্য। এই নীতি প্রয়োগ করে ফ্রান্সের সেন

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। উনবিংশ শতকে প্রথমদিকে ইতালি বিভিন্ন ছোট-বড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া ছাড়া ইতালির সব রাজ্যে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা বিদেশি শক্তিগুলিকে বিতাড়িত করে বহুধা বিভক্ত ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অসমান অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাউন্ট ক্যামিলো বেনসো ডি ক্যাভুর (১৮১০-১৮৬১ খ্রি.)। [1] মতাদর্শ: [i] বিদেশি সাহায্য গ্রহণ: বাস্তববাদী ক্যাভুর উপলব্ধি করেন যে বৈদেশিক শক্তির সাহায্য ছাড়া অস্ট্রিয়ার মতো প্রবল শক্তিকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। [ii] স্যাভয় বংশের নেতৃত্ব: ক্যাভুর  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া   স্যাভয় বংশের  অধীনে ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করার নীতি গ্রহণ করেন। [iii] পিডমন্টের শক্তিবৃদ্ধি: পিডিমন্টের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। [2] বিদেশি সাহায্য: [i] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তিকে সহায়তা:  অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তির সাহায্য লাভের উদ্দেশ্যে ক্যাভুর ক্রিমিয়ার

ইতালির ঐক্য আন্দোলন, জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করো। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইতালি ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে বিভিন্ন ছোটবড় পরস্পর-বিরোধী রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এই রাজ্য জয় করে ঐক্যবদ্ধ করলেও তাঁর পতনের পর ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে আবার বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যাৎসিনি ও  ইয়ং ইতালি আন্দোলন ঃ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির জাতীয়তাবাদীরা রাজনৈতিক ঐক্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন  ম্যাৎসিনি (১৮০৫-'৭২খ্রি.) ঐতিহাসিক গ্রেনভিলের  মতে, ম্যাৎসনি ছিলেন "ইতালির প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যের মস্তিষ্ক এবং বিধিপ্রেরিত নায়ক।" [1] প্রথম জীবন:   ম্যাৎসিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক, সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, ও বিপ্লবী। তিনি ইতালির জেনোয়া প্রদেশ জন্মগ্রহণ করেন (১৮০৫ খ্রি.)। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন্ দেখতে শুরু করেন। প্রথম জীবনে তিনি কার্বোনারি নামে একটি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দিয়ে ইতালিকে বিদেশি শাসনমুক্তত করার চেষ্টা ক

ফ্রান্সের ইতিহাসে কাকে 'রাজনৈতিক কারাগার’ (Political Prison) বলা হয় ? এবং কেন

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে বাস্তিল দুর্গ 'রাজনৈতিক কারাগার' হিসেবে পরিচিত ছিল। বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে ‘লেতর দ্য ক্যাশে’ নামক গ্রেফতারি পরোয়ানার সাহায্যে রাজকীয় কর্মচারীরা যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখত বলে একে 'রাজনৈতিক কারাগার’ বলা হয়। রাজতন্ত্রবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার অপরাধে দার্শনিক ভলতেয়ার-কেও বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখা হয়।

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির ভূমিকা আলোচনা করো  উ. ভূমিকা: ফরাসী বিপ্লবের আগে প্রায় তিন শতাব্দির বেশি সময় ইতালি পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন ছোটবড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল. এখানকার অধিকাংশ রাজ্যে বিদেশীদের আধিপত্য ছিল। ইটালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির অবদান : ইটালির ঐক্য আন্দোলনে যে তিনজন প্রবাদপ্রতিম পুরুষ অসামান্য অবদানের সাক্ষর রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীর দেশপ্রেমিক গ্যারিবল্ডি (১৮০৭-১৮৮২ খ্রি) । ১. আন্দোলনে যোগদান ও দেশত্যাগ: গ্যারিবল্ডি ১৮৩৩ সালে ম্যাটসিনির সংস্পর্শে এসে ইয়ং ইটালি দলের সদস্য হন। তিনি ম্যাৎসিনি নেতৃত্বে স্যাভয়-এর বিদ্রোহে যোগ দিলে তার প্রাণদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। ২. ১৮৪৮ এর বিপ্লব : ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইতালিতে বিপ্লব শুরু হলে, গ্যারিবোল্ডি ইতালিতে ফিরে আসেন এবং রোমে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ম্যাৎসিনি অন্যতম সহকারী হিসাবে কাজ করেন। ৩. সিসিলি ও নেপলস জয় : গ্যারিবোল্ডি ‘লাল কোর্তা’ নামে সেনাদল গঠন করে দক্ষিন ইটালির সিসিলি ও নেপলস অভিযান করেন। সেখানকার বুরব রাজবংশকে পরাস্ত করে তিনি সিসিলি ও নেপলস (১৮৬০ খ্রি:) করেন। ৪. প্রজাতন্ত্র

ফ্রান্স 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর'

কে ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’বলেছেন? কেন বলেছেন? বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ফ্রান্সকে 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’ বলেছেন। প্রথমত, তিনি বলেন ফ্রান্সে প্রচলিত করব্যবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিগ্রস্ত। দ্বিতীয়ত, ফরাসি সমাজের অধিকারভোগী শ্রেণি যাজক ও অভিজাতরা ছিলেন অধিকাংশ জমির মালিক; কিন্তু এজন্য তারা কোনো কর দিতেন না। তৃতীয়ত, অপরদিকে অধিকারহীন শ্রেণির দরিদ্র কৃষকদের সমস্ত কর দিতে হত। সর্বপরি, ত্রুটিপূর্ণ অর্থনীতির জন্য দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায় এবং দরিদ্র মানুষ সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে পড়ে। এই সমস্ত কারণে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ ফ্রান্সকে 'ভ্রান্ত অর্থনীতির জাদুঘর’ বলেছেন।

শিল্পবিপ্লব কথাটি সর্বপ্রথম কে কবে ব্যবহার করেন?

শিল্পবিপ্লব কথাটি সর্বপ্রথম কে কবে ব্যবহার করেন? ফরাসি সমাজবিদ ও দার্শনিক অগাস্তে ব্ল্যাংকি সর্বপ্রথম ১৮৩৭ সালে শিল্পবিপ্লব কথাটি ব্যবহার করেন। শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর : শিল্পবিপ্লব কী ? শিল্পবিপ্লবের কারণ কী ? ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব হয়েছিল কেন ? শিল্পবিপ্লব কথাটি সর্বপ্রথম কে কবে ব্যবহার করেন ? শিল্পবিপ্লব কথাটি কে জনপ্রিয় করে তোলেন? তিনি কোন দেশের লোক ? কোন শিল্পকে কেন্দ্র করে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল ? শিল্পবিপ্লবে (বস্ত্রশিল্পকে) সাহায্য করেছিল এমন কয়েকটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম লেখো । ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লবের স্বর্ণযুগ বলা হয় কোন সম্রাটের আমলকে । জার্মানিতে কার নেতৃত্বে কবে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল ? রাশিয়ার কতসালে কার আমলে শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয় ? কোথায় সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয় ?

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন? অথবা, জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো।

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন?  অথবা,  জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো চতুর্থ ফ্রেডরিক উইলিয়ামের পরবর্তী রাজা প্রথম উইলিয়াম প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন। জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের নীতি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে অটো ফন বিসমার্ক  (১৮৬২-১৮৯০ খ্রি.) প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে প্রথম উইলিয়ামের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নলিখিত নীতি গ্রহণ করেন -  [1] রাজতন্ত্রে বিশ্বাস: রাজতন্ত্রে  বিশ্বাসী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ছিল প্রশিয়ার রাজতন্ত্রের অধীনে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং প্রাশিয়ার রাজতান্ত্রিক শাসনের ভাবধারায় জার্মানিকে প্রভাবিত করা। [2] রক্ত ও লৌহ:  বিসমার্ক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ওপর নয়, 'রক্ত ও লৌহ নীতি 'র উপর আস্থাশীল ছিলেন। তিনি প্রাশিয়ার আইন সভায় ঘোষণা করেন যে, "বিতর্ক ভোটের দ্বারা নয়, রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই জার্মানির সমস্যার সমাধান হবে।" [3] সামরিক শক্তিতে আস্থা:  বিসমার্ক উপ

মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণাপত্র

  মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণাপত্র কী? এই ঘোষণাপত্রের মূলকথা কী ছিল? ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট ফ্রান্সের 'সংবিধান সভা' একটি ঘোষণাপত্রে মানুষের অধিকারের কথা ঘোষণা করে।  এটি রচিত হয়েছিল 'আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র', রুশো ও লকের দার্শনিক মতবাদ ও ইংল্যান্ডের 'বিল অব রাইটস' প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে।  এই ঘোষণাপত্রটি  'মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণা’  নামে পরিচিত।   মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণায়  বলা হয় - ১) স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার ও পবিত্র অধিকার।  ২) আইনের চোখে সকলেই সমান। ৩) আইনের উৎস হল জনমত। ৪) সম্পত্তির অধিকার একটি পবিত্র অধিকার। ৫) স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন ও মতামত প্রকাশের অধিকার সকলের আছে। ৬) সমস্ত নাগ্রিকের ওপর করভার সমভাবে প্রযোজ্য হবে। ৭) আইনি সাহায্য ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা বা কারাদন্ড দেওয়া যাবে না। আসলে এই ঘোষণাপত্রের দ্বারা ফরাসি বিপ্লবের তিনটি আদর্শ - সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

🙏 সবিনয় আবেদন 🙏

যেহেতু এই সাইটের সমস্ত শিক্ষাসামগ্রি সম্পূর্ণ বিনামুল্যে প্রদান করা হয়, সেহেতু আপনারা চাইলে আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।

👩 যে কোন পরিমাণ ( সর্বনিম্ন 10 টাকা / দশ টাকা ) সহায়তা সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হবে।
অর্থ পাঠানোর একাউন্টসের বিবরণ :
1) Account Holder's Name : K. N. Mondal
2) Bank Name : Bank Of Baroda
3) Account No. 2759-0100-0151-24
4) IFS CODE : BARB0BRAPUR (Fifth Character is ZERO)
অর্থ পাঠালে অবশ্যই ইমেল করে ট্রাঞ্জাকশন আইডি (Transaction ID) পাঠাতে ভুলবেন না।
আপনার পাঠানো অর্থের অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার করা হবে।
আমাদের EMAIL ID : nehacomputeraids@gmail.com