ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব বা তাৎপর্য : ভিয়েনা সম্মেলনের ত্রুটি : ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এর বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। ১) যুগধর্মকে অস্বীকার :   এই যুগের চাহিদা ছিল আধুনিক গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও উদারনৈতিক ভাবধারাকে মূল্য দেওয়া। কিন্তু ভিয়েনা সম্মেলনের প্রতিনিধিরা এই যুগধর্মকে অস্বীকার করে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরে এনেছিলেন। ২) ভূখণ্ড দখল :   ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্যোক্তারা মুখে ন্যায় ও সততার কথা বললেও বাস্তবে পরাজিত দেশগুলির ভূখণ্ড দখল করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ৩) বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তির আধিপত্য :   ভিয়েনা সম্মেলন নামে মাত্রই ইউরোপীয় রাষ্ট্র বর্গের সম্মেলন ছিল। মূলত এই সম্মেলনকে সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল চারটি বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তি। এরা হলো অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, প্রাশিয়া ও ইংল্যান্ড। অন্যেরা ছিল কেবলমাত্র ‘শোভাবর্ধনকারী’ মাত্র। ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব / তাৎপর্য / প্রভাব ঃ তবে এই সমস্ত ত্রুটি সত্ত্বেও এই সম্মেলনের প্রভাব হয়েছিল সুদূর প্রসারী। কেননা, প্রথমত :  ভিয়েনা সম্মেলন পরবর্তী প্রায় ৪০ বছর ইউরোপকে ...
 ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা  নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়।  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি :  অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...