সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব

ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব

Significance of Vienna Conference,
ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব

ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব বা তাৎপর্য :

ভিয়েনা সম্মেলনের ত্রুটি :

ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এর বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে।

১) যুগধর্মকে অস্বীকার : 

এই যুগের চাহিদা ছিল আধুনিক গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও উদারনৈতিক ভাবধারাকে মূল্য দেওয়া। কিন্তু ভিয়েনা সম্মেলনের প্রতিনিধিরা এই যুগধর্মকে অস্বীকার করে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরে এনেছিলেন।

২) ভূখণ্ড দখল : 

ভিয়েনা সম্মেলনের উদ্যোক্তারা মুখে ন্যায় ও সততার কথা বললেও বাস্তবে পরাজিত দেশগুলির ভূখণ্ড দখল করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।

৩) বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তির আধিপত্য : 

ভিয়েনা সম্মেলন নামে মাত্রই ইউরোপীয় রাষ্ট্র বর্গের সম্মেলন ছিল। মূলত এই সম্মেলনকে সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছিল চারটি বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তি। এরা হলো অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, প্রাশিয়া ও ইংল্যান্ড। অন্যেরা ছিল কেবলমাত্র ‘শোভাবর্ধনকারী’ মাত্র।

ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব / তাৎপর্য / প্রভাব ঃ

তবে এই সমস্ত ত্রুটি সত্ত্বেও এই সম্মেলনের প্রভাব হয়েছিল সুদূর প্রসারী। কেননা,
প্রথমত : ভিয়েনা সম্মেলন পরবর্তী প্রায় ৪০ বছর ইউরোপকে যুদ্ধ মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিল
দ্বিতীয়ত : ইতালি ও জার্মানির ঐক্য আন্দোলনকে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করেছিল।
তৃতীয়ত : ভিয়েনা সম্মেলন থেকেই জাতিসংঘ ও জাতিপুঞ্জের মত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুপ্রেরণা এসেছিল।
চতুর্থত : সামন্ততন্ত্রের ধ্বংস করে আধুনিক রাষ্ট্রের জন্মের ধারণা ভিয়েনা সম্মেলন থেকেই শুরু হয়েছিল।

মূলত, এ কারণেই ঐতিহাসিক কেটেলবি বলেছেন ভিয়েনা বন্দোবস্ত আধুনিক রাষ্ট্রের ভিত্তে স্থাপন করেছিল। (The foundation of the European States of the 19th century was laid at Vienna in 1815)
---------------------xx-------------------

মনে রেখো ঃ
প্রশ্নটির মান ২ হলে শুধুমাত্র নিচের অংশটুকু (ভিয়েনা সম্মেলনের গুরুত্ব / তাৎপর্য / প্রভাব )
 লিখলেই হবে।

ভিয়েনা সম্মেলন সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তর :

মন্তব্যসমূহ

📘 নবম শ্রেণি 📘 : 👩 যে অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চাও তাতে ক্লিক করো

------------------------------------------------------------------------

OUR BOOKS FOR WBBSE & WBCHSE

OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)

------------------------------------------------------------------------

নবম শ্রেণির জনপ্রিয় প্রশ্নগুলো পড়ো :

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

 ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়।  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...

ফরাসি বিপ্লবের কারণ

১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের জন্য রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারন গুলি আলোচনা কর।  অথবা, ফরাসি বিপ্লবের কারনগুলি আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লব ঃ ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব শুধু ফ্রান্সের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।এই বিপ্লব হওয়ার পিছনে ছিল দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত নানা অভাব অভিযোগ। ঐতিহাসিক লেফেভরের-এর মতে ফরাসি বিপ্লবের উৎস অনুসন্ধান করতে হবে তার অতীত ইতিহাসের মধ্যে। ফরাসি বিপ্লবের কারন ‌ফরাসি বিপ্লবের পিছনে প্রকৃতপক্ষে তিনটি কারণ দায়ী ছিল-  ‌১) রাজনৈতিক কারন ২) সামাজিক কারণ ৩) অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের  রাজনৈতিক কারন ফরাসি বিপ্লব ছিল প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বুঁরবো রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।রাজারা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তারা বংশানুক্রমিকভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। রাজাদের দুইরকম ভাবে শাসনকার্য চালাত-- ক) রাজাদের দুর্বল শাসন : ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই(১৬৪৩-১৭১৫ খ্রীঃ) বিলাস ব্যসনে মগ্ন থেকে স্বৈরাচারী ক্ষমতার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।তিনি বলতেন “আমিই রাট্র”। পরবর্তী রাজা...

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠন এর উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি নামে পরিচিত। এই নীতি গুলি ছিল ১) ন্যায্য অধিকার নীতি ২) ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি হল, ১ ) ন্যায্য অধিকার নীতি :  এই নীতির মূল কথা হলো ইউরোপে বিপ্লব পূর্ববর্তী রাজবংশ গুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির ফলে ফ্রান্সে বুুুরবোঁ বংশ হল্যান্ডে  অরেঞ্জ বংশ , তা নিয়ায় ভিদ্মতে  সাতবাহন বংশ এবং  মধ্য ইতালীতে  পোপ  ক্ষমতা লাভ করে। ২) ক্ষতিপূরণ নীতি :   এই নীতির মূল কথা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই নীতি প্রয়োগ করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের নেপোলিয়ন অধিকৃত ভূখণ্ড গুলি ভাগাভাগিি করে। ৩) শক্তিসাম্য নীতি :  ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না করতে তা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক...

কোড নেপোলিয়ন

কোড নেপোলিয়ন বলতে কী বোঝো? কোড নেপোলিয়ন-এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কীভাবে ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ রক্ষা করেন? কোড নেপোলিয়ন কী ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচিগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ হল ‘কোড নেপোলিয়ন’ (Code Napoleon) বা আইনবিধি প্রবর্তন। তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানা স্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক ও পরস্পরবিরোধী আইন প্রচলিত ছিল। নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে ৪ জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে নিয়ে একটি পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে আইনবিধি সংকলিত হয়, তা ‘কোড নেপোলিয়ন’  নামে খ্যাত। কোড নেপোলিয়নের বৈশিষ্ট্য ঃ ২২৮৭টি বিধি সংবলিত এই আইন সংহিতা তিন ভাগে বিভক্ত ছিল— দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং বাণিজ্যিক আইন। আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতি ছিল এই আইন সংহিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।  নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ, প্রাকৃতিক আইন ও রোমান আইনের সমন্বয় সাধন করে কোড নেপোলিয়ন রচনা করেছিলেন। প্রথমত: এই আইনের ফল...

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। উনবিংশ শতকে প্রথমদিকে ইতালি বিভিন্ন ছোট-বড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া ছাড়া ইতালির সব রাজ্যে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা বিদেশি শক্তিগুলিকে বিতাড়িত করে বহুধা বিভক্ত ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অসমান অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাউন্ট ক্যামিলো বেনসো ডি ক্যাভুর (১৮১০-১৮৬১ খ্রি.)। [1] মতাদর্শ: [i] বিদেশি সাহায্য গ্রহণ: বাস্তববাদী ক্যাভুর উপলব্ধি করেন যে বৈদেশিক শক্তির সাহায্য ছাড়া অস্ট্রিয়ার মতো প্রবল শক্তিকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। [ii] স্যাভয় বংশের নেতৃত্ব: ক্যাভুর  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া   স্যাভয় বংশের  অধীনে ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করার নীতি গ্রহণ করেন। [iii] পিডমন্টের শক্তিবৃদ্ধি: পিডিমন্টের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। [2] বিদেশি সাহায্য: [i] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তিকে সহায়তা:  অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশি শ...

ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব হয়েছিল কেন?

ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের কারণ ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষি বিপ্লব : নবজাগরণের ফলে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়। নতুন ও উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে। এই কৃষি বিপ্লব শিল্পবিপ্লবকে কাঁচামাল দিয়ে সাহায্য করেছিল। ২) সুলভ শ্রমিক : ষোড়শ শতক থেকে ইংল্যান্ডে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই বর্ধিত জনসংখ্যা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সুলভ শ্রমিকের যোগান দিয়েছিল। ৩) মূলধনের প্রাচুর্য : ১৭ শতক থেকে ইংল্যান্ড বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। এই মুনাফা শিল্পের প্রয়োজনীয় মূলধনের যোগান দিয়েছিল। ৪) বাজার : ঔপনিবেশিক দ্বন্দ্বে জয়লাভের ফলের শিল্প পণ্যের বাজার পেতে সুবিধে হয়েছিল। ৫) খনিজ : শিল্পের প্রয়োজনীয় খনিজসম্পদ যেমন লোহা ও কয়লা ইংল্যান্ডে প্রচুর পাওয়া যেত। ৬) উন্নত পরিবহন : নবজাগরণ ও নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। এই পরিবহন ব্যবস্থা শিল্পবিপ্লবে সাহায্য করেছিল। এই সমস্ত অনুকূল পরিবেশ ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করেছি...

মেটারনিক তন্ত্র কী?

  মেটারনিক তন্ত্র কী? What is Metternich System? ফরাসি বিপ্লবের ফলে ইউরোপে উদারনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদ সহ নানান আধুনিক ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ে। নেপোলিয়নের পতনের পর অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও ইউরোপীয় রক্ষণশীলতার জনক মেটারনিক ইউরোপকে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব থেকে মুক্ত করে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে তীব্র দমনমূলক ও রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছিলেন এবং সমগ্র ইউরোপে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তা ‘ মেটারনিক তন্ত্র ’ বা ‘ মেটারনিক ব্যবস্থা ’ বা  ‘ মেটারনিক পদ্ধতি ’  নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থার ফলে ইউরোপ প্রায় ত্রিশ বছরের (১৮১৫ - ১৮৪৮) জন্য যুদ্ধজনিত অশান্তি ও অস্থিরতা থেকে মুক্ত ছিল। এটাই মেটারনিক তন্ত্রের উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব। আর এই কারণে এই সময়কালকে ঐতিহাসিক ফিশার ‘ মেটারনিক যুগ’ নাম অভিহিত করেছেন।  ---------xx------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) ‘মেটারনিক ব্যবস্থা’ বলতে কী বোঝ? ২) কোন সময়কে কেন ‘মেটারনিক যুগ’ বলা হয়। ৩) ‘মেটারনিক পদ্ধতি’ কী?

ইতালির ঐক্য আন্দোলন, জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করো। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইতালি ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে বিভিন্ন ছোটবড় পরস্পর-বিরোধী রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এই রাজ্য জয় করে ঐক্যবদ্ধ করলেও তাঁর পতনের পর ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে আবার বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যাৎসিনি ও  ইয়ং ইতালি আন্দোলন ঃ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির জাতীয়তাবাদীরা রাজনৈতিক ঐক্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন  ম্যাৎসিনি (১৮০৫-'৭২খ্রি.) ঐতিহাসিক গ্রেনভিলের  মতে, ম্যাৎসনি ছিলেন "ইতালির প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যের মস্তিষ্ক এবং বিধিপ্রেরিত নায়ক।" [1] প্রথম জীবন:   ম্যাৎসিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক, সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, ও বিপ্লবী। তিনি ইতালির জেনোয়া প্রদেশ জন্মগ্রহণ করেন (১৮০৫ খ্রি.)। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন্ দেখতে শুরু করেন। প্রথম জীবনে তিনি কার্বোনারি নামে একটি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দিয়ে ইতালিকে বিদেশি শাসনমুক্তত কর...

ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের (১৮৪৮ খ্রি.) কারণ

ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের (১৮৪৮ খ্রি.) কারণ গুলি কি ছিল? দশম চার্লস রাজত্বকালে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের মাত্র তিনদিনের রক্তপাতহীন জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্স আলিয়েন বংশের সূচনা হয় এবং এই বংশের রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসন লাভ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র 'জুলাই রাজতন্ত্র' নামে পরিচিত। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে লুই ফিলিপ তথা জুলাই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং ফ্রান্সে 'দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের কারণ: বিভিন্ন ঐতিহাসিক ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের জন্য বিভিন্ন কারণকে দায়ী। যেমন- [1] বুর্জোয়াদের আধিপত্য: লুই ফিলিপ একটি বুর্জোয়া পার্লামেন্টের দ্বারা রাজপদে নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর দেশে বুর্জোয়াদের স্বার্থরক্ষার ব্যবস্থা হয়। ফলে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। [2] জনসমর্থনের অভাব: বিভিন্ন কারণে লুই ফিলিপের জনসমর্থনের অভাব ছিল। যেমন- [i] নেপোলিয়নের অনুগামীরা তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র লুই বোনাপার্টকে সিংহাসনে বসাতে চেয়েছিল। [ii] ন্যায্য অধিকার নীতির সমর্থকরা দশম চার্লসের উত্তরাধিকারী ডিউক অব বেরিকে সিংহাসনের বৈধ দাবিদার বলে মনে করতেন।...

নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন?

নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় - কারণ ব্যাখ্যা কর। নেপনিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয় কেন? নেপোলিয়ান এক অতি সাধারন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও ফ্রান্সের সম্রাট পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। আর এটা সম্ভব হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সে যে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শের উন্মেষ ঘটেছিল, তার সৌজন্যেই। আর একারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিপ্লবের সন্তান। তবে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতার আদর্শকে তিনি আজীবন সম্মান দেখাননি। নেপনিয়নকে 'বিপ্লবের সন্তান' বলার কারণ : তাঁর এই বিপ্লবের সন্তান হয়ে ওঠার পিছনে আরও যেসব সমস্ত বিষয় গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা নিয়েছিল তা হল : ১) বিপ্লবী আদর্শের বাস্তবায়ন : ১৭৮৯ সালে ফ্রান্সের সংবিধান সভা সে-দেশ থেকে সামন্ত প্রথা, ভূমিদাস প্রথা, করভি বা বেগর শ্রম, টাইট বা ধর্মকর ইত্যাদি বিলোপ ঘটিয়েছিল। নেপোলিয়ান ক্ষমতায় আসার পর বিপ্লবী সরকারের এইসব নিয়মকে সচেতন ভাবেই বহাল রেখেছিলেন। ২) বিপ্লবী আদর্শের প্রসার : শুধু বহাল রাখাই নয়, বিপ্লবের মূল মন্ত্র সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার আদর্শের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ৩) পুরাতন তন্ত্রের ধ্বংস সাধন : ফ্রান্সের ...