সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর।

ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর,ফরাসি বিপ্লবের ফলাফল আলোচনা করো, ফরাসি বিপ্লবের গুরুত্ব আলোচনা কর, ফরাসি বিপ্লবের তাৎপর্য আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লবের প্রভাব বা ফলাফল : ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব ফ্রান্স তথা পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা করে। ঐতিহাসিক ডেভিড টমসনের মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ফরাসি বিপ্লবই আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসে সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ফরাসি বিপ্লবের প্রতক্ষ প্রভাব : ১) সামন্ততন্ত্রের অবসান : ফরাসি বিপ্লবের ফলে ফ্রান্সে মধ্যযুগীয় সামন্ততন্ত্রের অবসান ঘটে। সমস্ত সামন্ততান্ত্রিক কর বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। ২) প্রজাতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা : ১৭৮৯ সালে 'ব্যক্তি ও নাগরিকের অধিকার' নামক ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে ফ্রান্সে ১৭৯২ সালে রাজতন্ত্রের অবসান অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩) গির্জার আধিপত্য বিলুপ্তি : ফরাসি বিপ্লবের ফলে দুর্নীতিগ্রস্ত গির্জা ব্যবস্থা ও যাজকতন্ত্রের অবসান ঘটে। গির্জার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৪) জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা : ফরাসি বিপ্লবের ফলে ব্যক্তি ও নাগরিকের অধিকার ঘোষণাপত্...

টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব

টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব লেখো। টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব টেনিস কোর্টের শপথ-এর গুরুত্ব,টেনিস কোর্টের শপথ-এর ফলাফল, টেনিস কোর্টের শপথ-এর তাৎপর্য, ফ্রান্সের তৃতীয় সম্প্রদায়ের মানুষ ১৭৮৯ সালের ২০ জুন জাতীয় সভার অধিবেশন কক্ষের সামনে অবস্থিত টেনিস কোর্টে এই মর্মে শপথ নেন যে, ফ্রান্সের জন্য নতুন সংবিধান রচনা না করা পর্যন্ত এই স্থান ত্যাগ করবেন না। এই ঘটনা টেনিস কোর্টের শপথ নামে পরিচিত। টেনিস কোর্টের শপথ ফ্রান্সের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। কেননা,  আন্দোলনের চাপে পড়ে রাজা তৃতীয় সম্প্রদায়ের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন ঃ রাজা ফরাসি জনগণের তিন সম্প্রদায়ের একত্রে অধিবেশন কক্ষে বসার দাবি মেনে নেন। তৃতীয় সম্প্রদায়ের জন্য মাথা পিছু ভোটাধিকারের স্বীকার করে নেন। এই ঘটনা ফ্রান্সের ইতিহাসে বুর্জোয়া বিপ্লব নামে পরিচিতি পায়। বলা যায় মূলত এই সময় থেকে ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হয়। ------------xx---------------

আধুনিক যুগে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব

 আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। আধুনিক যুগের শুরু থেকেই ব্যবসাবাণিজ্য বাড়তে থাকে। নবজাগরণের হাত ধরে তা আরও ব্যপকতা লাভ করে। এই সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারের কল্যাণে কৃষি ও শিল্পের উৎপাদনে ব্যপক উন্নতি সাধিত হয়। ফলে কৃষি ও শিল্প পণ্যের বিক্রি করার কাছে নামে এক শ্রেণির মানুষ। এরাই ব্যবসায়ী নামে পরিচিতি লাভ করে।  এভাবে এক এক পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এক একটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়। ----------##-------- এই বিভাগের অন্যান্য প্রশ্ন ১) কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেন কে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ২) অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৩) ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৪) সার্ফ কাদের বলা হয়? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৫) ব্ল্যাক ডেথ কী? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৬) আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। উত্তর পেতে ...

ব্ল্যাক ডেথ ও তার ফলাফল

  ব্ল্যাক ডেথ কী? এর ফলাফল কী হয়েছিল? ব্ল্যাক ডেথ ঃ ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের অবক্ষয়ের যুগে ইংল্যান্ডে এক ভয়াবহ মহামারি দেখা দেয়। চতুর্দশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে এই মহামারির কারণে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সার্ফ বা ভুমিদাসের মৃত্যু হয়। এই মহামারি ' ব্লাক ডেথ' নামে পরিচিত। ব্ল্যাক ডেথ-এর ফলাফল ঃ এই ' ব্লাক ডেথ'- এর ( মহামারি) কারণে একদিকে যেমন সামন্ততন্ত্রের সংকট ঘনীভূত হয়েছিল, তেমনি ভুমিদাস প্রথার বিলোপ সাধনের পথও প্রশস্ত হয়েছিল। -------##-------- এই বিভাগের অন্যান্য প্রশ্ন ১) কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেন কে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ২) অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৩) ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৪) সার্ফ কাদের বলা হয়? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৫) ব্ল্যাক ডেথ কী? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৬) আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৭)...

সার্ফ কাদের বলা হয়?

 সার্ফ কাদের বলা হয়? সার্ফ কথার অর্থ ভুমিদাস । ইউরোপীয় সামন্তপ্রথার মুল ভিত্তি ছিল কৃষি এবং সামন্তপ্রভুরা ছিল এই কৃষি জমির মালিক। অথচ তারা কখনই চাষাবাদ করত না । যারা বিনা বেতনে এই কাজ করত তাদের বলা হত সার্ফ বা ভুমিদাস । ----------##--------- এই বিভাগের অন্যান্য প্রশ্ন ১) কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেন কে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ২) অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৩) ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৪) সার্ফ কাদের বলা হয়? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৫) ব্ল্যাক ডেথ কী? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৬) আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৭) রেনেসাঁ শব্দটির উৎস কী? এর অর্থ লেখ। 8) লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কে ছিলেন? তিনি কি জন্য বিখ্যাত? ৯) মাইকেল এঞ্জেলো কে ছিলেন? তিনি কি জন্য খ্যাতি লাভ করেছেন? ১০) কে কত সালে কোথায় আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার...

ওয়ার্মসের চুক্তি ও তার ফলাফল বা তাৎপর্য

 ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। ওয়ার্মসের চুক্তি ১১২২ সালে সম্রাট পঞ্চম হেনরির ও পোপ দ্বিতীয় ক্যালিক্সটাসের মধ্যে হয়েছিল। এই চুক্তির ফলে পোপ ও রোমান সম্রাটদের মধ্যে চলা দির্ঘদিনের অভিষেক দ্বন্দ্বের সমাপ্তি ঘটে। অর্থাৎ এই চুক্তির মাধ্যমে পোপ তাঁর সম্রাটকে অভিষেকের ক্ষমতা সুনিশ্চিত করে নেন এবং পোপ তথা চার্চ রাষ্ট্রের বা সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে সম্মত হয়। -----------##---------- এই বিভাগের অন্যান্য প্রশ্ন ১) কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেন কে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ২) অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৩) ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৪) সার্ফ কাদের বলা হয়? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৫) ব্ল্যাক ডেথ কী? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৬) আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো ।...

অভিষেক দ্বন্দ্ব

  অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সূচনা থেকেই সম্রাট ও পোপের মধ্যে মর্যাদার লড়াই চলছিল। সম্রাট শার্লামেনের সময় উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর রোমান সম্রাট ও পোপের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রশ্ন ওঠে কে বড় - সম্রাট না পোপ? অর্থাৎ কে কাকে নিয়োগ বা অভিষিক্ত করার অধিকারি?  এই নিয়ে উয়ের মধ্যে যে বিরোধ বা দ্বন্দ্ব শুরু হয় তা-ই অভিষেক দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত। ----------##---------- এই বিভাগের অন্যান্য প্রশ্ন ১) কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেন কে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ২) অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৩) ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৪) সার্ফ কাদের বলা হয়? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৫) ব্ল্যাক ডেথ কী? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৬) আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৭) রেনেসাঁ শব...

কীভাবে সম্রাট শার্লামেন রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত হয়েছিলেন?

কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেনকে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? পোপ তৃতীয় লিও সম্রাট শার্লামেনকে পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন। ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর সম্রাট শার্লামেন যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনের উৎসবে সেন্ট পিটার্স গির্জায় প্রার্থনা করছিলেন। সেই সময় পোপ তৃতীয় লিও সম্রাটের মাথায় প্রাচীন রোমান সম্রাটের একটি স্বর্ণমুকুট পরিয়ে দেন। এভাবেই পোপ তৃতীয় লিও কতৃক সম্রাট শার্লামেনের রাজ্যাভিষেক সম্পন্ন হয়। ----------##-------- এই বিভাগের অন্যান্য প্রশ্ন ১) কে কীভাবে সম্রাট শার্লামেন কে রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেছিলেন? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ২) অভিষেক দ্বন্দ্ব কী ? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৩) ওয়ার্মসের চুক্তি কত সালে কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এই চুক্তির ফলাফল বা তাৎপর্য নির্ণয় করো। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৪) সার্ফ কাদের বলা হয়? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৫) ব্ল্যাক ডেথ কী? উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো । ৬) আধুনিক যুগে কীভাবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটেছিল লেখ। উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক ...

মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণাপত্র

  মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণাপত্র কী? এই ঘোষণাপত্রের মূলকথা কী ছিল? ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ আগস্ট ফ্রান্সের 'সংবিধান সভা' একটি ঘোষণাপত্রে মানুষের অধিকারের কথা ঘোষণা করে।  এটি রচিত হয়েছিল 'আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র', রুশো ও লকের দার্শনিক মতবাদ ও ইংল্যান্ডের 'বিল অব রাইটস' প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে।  এই ঘোষণাপত্রটি  'মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণা’  নামে পরিচিত।   মানুষ ও নাগরিকের অধিকারের ঘোষণায়  বলা হয় - ১) স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার ও পবিত্র অধিকার।  ২) আইনের চোখে সকলেই সমান। ৩) আইনের উৎস হল জনমত। ৪) সম্পত্তির অধিকার একটি পবিত্র অধিকার। ৫) স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন ও মতামত প্রকাশের অধিকার সকলের আছে। ৬) সমস্ত নাগ্রিকের ওপর করভার সমভাবে প্রযোজ্য হবে। ৭) আইনি সাহায্য ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা বা কারাদন্ড দেওয়া যাবে না। আসলে এই ঘোষণাপত্রের দ্বারা ফরাসি বিপ্লবের তিনটি আদর্শ - সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন? অথবা, জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো।

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন?  অথবা,  জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো চতুর্থ ফ্রেডরিক উইলিয়ামের পরবর্তী রাজা প্রথম উইলিয়াম প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন। জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের নীতি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে অটো ফন বিসমার্ক  (১৮৬২-১৮৯০ খ্রি.) প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে প্রথম উইলিয়ামের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নলিখিত নীতি গ্রহণ করেন -  [1] রাজতন্ত্রে বিশ্বাস: রাজতন্ত্রে  বিশ্বাসী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ছিল প্রশিয়ার রাজতন্ত্রের অধীনে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং প্রাশিয়ার রাজতান্ত্রিক শাসনের ভাবধারায় জার্মানিকে প্রভাবিত করা। [2] রক্ত ও লৌহ:  বিসমার্ক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ওপর নয়, 'রক্ত ও লৌহ নীতি 'র উপর আস্থাশীল ছিলেন। তিনি প্রাশিয়ার আইন সভায় ঘোষণা করেন যে, "বিতর্ক ভোটের দ্বারা নয়, রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই জার্মানির সমস্যার সমাধান হবে।" [3] সামরিক ...

ইতালির ঐক্য আন্দোলোনে ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুরের আদর্শগত পার্থ্যকগুলি কি ছিল?

ইতালির ঐক্য আন্দোলোনে ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুরের আদর্শগত পার্থ্যকগুলি কি ছিল? ইতালির জাতীয়তাবাদী মুক্তির আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। তাঁর আদর্শ, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম ইটালিবাসীকেচেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। ইয়ং ইতালি ছিল তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি।  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ভিক্টর ইমন্যুয়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কাউন্ট ক্যাভুর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ, বুদ্ধিমান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর লক্ষ্য ছিল পিডিমন্ট রাজবংশের অধীনে সমগ্র ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করা। ম্যাৎসিনি ও কাউন্ট ক্যাভুরের আদর্শগত পার্থক্য ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুর উভয়েরই লক্ষ্য ছিল বৈদেশিক প্রভাব থেকে ইতালিকে মুক্ত করা। তবুও উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু আদর্শগত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যথা -  বিষয় জোসেফ ম্যাৎসিনি কাউন্ট ক্যাভ্যুর প্রকৃতি ম্যাৎসিনি ছিলেন আদর্শবাদী। ক্যাভ্যুর ছিলেন বাস্তববাদী। বিশ্বাস ম্যাৎসিনি ম্যাৎসিনি বিশ্বাস করতেন ইতালির যুব শক্তির দ্বারা ইতালির মুক্তি সম্ভব। ক্যাভ্যুর ইতালির মুক্তির জন্য বৈদেশিক সহায়তার উপর জোর দেন। সমর্থক ম্যাৎসিনি ছিলেন গণতন্ত্রের সমর্থক। ক্যাভ্যুর ছিলেন সাংবিধান...

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির ভূমিকা আলোচনা করো  উ. ভূমিকা: ফরাসী বিপ্লবের আগে প্রায় তিন শতাব্দির বেশি সময় ইতালি পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন ছোটবড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল. এখানকার অধিকাংশ রাজ্যে বিদেশীদের আধিপত্য ছিল। ইটালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডির অবদান : ইটালির ঐক্য আন্দোলনে যে তিনজন প্রবাদপ্রতিম পুরুষ অসামান্য অবদানের সাক্ষর রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীর দেশপ্রেমিক গ্যারিবল্ডি (১৮০৭-১৮৮২ খ্রি) । ১. আন্দোলনে যোগদান ও দেশত্যাগ: গ্যারিবল্ডি ১৮৩৩ সালে ম্যাটসিনির সংস্পর্শে এসে ইয়ং ইটালি দলের সদস্য হন। তিনি ম্যাৎসিনি নেতৃত্বে স্যাভয়-এর বিদ্রোহে যোগ দিলে তার প্রাণদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। ২. ১৮৪৮ এর বিপ্লব : ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইতালিতে বিপ্লব শুরু হলে, গ্যারিবোল্ডি ইতালিতে ফিরে আসেন এবং রোমে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ম্যাৎসিনি অন্যতম সহকারী হিসাবে কাজ করেন। ৩. সিসিলি ও নেপলস জয় : গ্যারিবোল্ডি ‘লাল কোর্তা’ নামে সেনাদল গঠন করে দক্ষিন ইটালির সিসিলি ও নেপলস অভিযান করেন। সেখানকার বুরব রাজবংশকে পরাস্ত করে তিনি সিসিলি ও নেপলস (১৮৬০ খ্রি:) করেন। ৪. প্রজাতন...

১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়?

১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়? ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বহুধা বিভক্ত ইতালির রাজ্যগুলি জয় করে ফ্রান্সের অধীনে আনলে ইতালি সর্বপ্রথম রাজনৈতিক ঐক্যের আস্বাদ পায়। ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিতে গৃহীত পদক্ষেপ: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইতালিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেমন- [1] ন্যায্য অধিকার নীতি:  ভিয়েনা সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ ন্যায্য অধিকার নীতির দ্বারা ইতালিকে ৮ টি রাজ্যে বিভক্ত করে ইতালির নবজাগ্রত জাতীয়তাবাদ ধ্বংস করার উদ্যোগ নেন।  বিভিন্ন রাজ্যে বিদেশি শাসক ও সামন্তপ্রভুদের আধিপত্য ফিরিয়ে আনা হয়। ইতালির একমাত্র  পিডমন্ট-সার্ডিনিয়ায়  ইতালীয় বংশোদ্ভূত রাজা ছিলেন। [2] বিদেশি আধিপত্য:   ভিয়েনা বন্দোবস্ত অনুসারে- [i] উত্তর ইতালির লাম্বার্দি ও ভিনিশা অস্ট্রিয়ার  অধীনে চলে যায়। [ii] অস্ট্রিয়ার হ্যাপসবার্গ বংশ মধ্য ইতালির পার্মা, মডেনা, টাস্কানি প্রভৃতি রাজ্যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। [iii] বিদেশি পোপ মধ্য ইতালীতে নিজের শাসনক্ষমতা ফিরে পান।  [iv] অস্ট্রিয়ার অনুগত বুরবো বংশীয় র...

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। উনবিংশ শতকে প্রথমদিকে ইতালি বিভিন্ন ছোট-বড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া ছাড়া ইতালির সব রাজ্যে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা বিদেশি শক্তিগুলিকে বিতাড়িত করে বহুধা বিভক্ত ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অসমান অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাউন্ট ক্যামিলো বেনসো ডি ক্যাভুর (১৮১০-১৮৬১ খ্রি.)। [1] মতাদর্শ: [i] বিদেশি সাহায্য গ্রহণ: বাস্তববাদী ক্যাভুর উপলব্ধি করেন যে বৈদেশিক শক্তির সাহায্য ছাড়া অস্ট্রিয়ার মতো প্রবল শক্তিকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। [ii] স্যাভয় বংশের নেতৃত্ব: ক্যাভুর  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া   স্যাভয় বংশের  অধীনে ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করার নীতি গ্রহণ করেন। [iii] পিডমন্টের শক্তিবৃদ্ধি: পিডিমন্টের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। [2] বিদেশি সাহায্য: [i] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তিকে সহায়তা:  অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশি শ...

ইতালির ঐক্য আন্দোলন, জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করো। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইতালি ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে বিভিন্ন ছোটবড় পরস্পর-বিরোধী রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এই রাজ্য জয় করে ঐক্যবদ্ধ করলেও তাঁর পতনের পর ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে আবার বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যাৎসিনি ও  ইয়ং ইতালি আন্দোলন ঃ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির জাতীয়তাবাদীরা রাজনৈতিক ঐক্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন  ম্যাৎসিনি (১৮০৫-'৭২খ্রি.) ঐতিহাসিক গ্রেনভিলের  মতে, ম্যাৎসনি ছিলেন "ইতালির প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যের মস্তিষ্ক এবং বিধিপ্রেরিত নায়ক।" [1] প্রথম জীবন:   ম্যাৎসিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক, সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, ও বিপ্লবী। তিনি ইতালির জেনোয়া প্রদেশ জন্মগ্রহণ করেন (১৮০৫ খ্রি.)। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন্ দেখতে শুরু করেন। প্রথম জীবনে তিনি কার্বোনারি নামে একটি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দিয়ে ইতালিকে বিদেশি শাসনমুক্তত কর...

📘 নবম শ্রেণি 📘 : 👩 যে অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর চাও তাতে ক্লিক করো

------------------------------------------------------------------------

OUR BOOKS FOR WBBSE & WBCHSE

OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)

------------------------------------------------------------------------

সবচেয়ে বেশি পড়া হয়েছে যে প্রশ্নগুলো :

ফরাসি বিপ্লবের কারণ

১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের জন্য রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারন গুলি আলোচনা কর।  অথবা, ফরাসি বিপ্লবের কারনগুলি আলোচনা কর। ফরাসি বিপ্লব ঃ ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব শুধু ফ্রান্সের ইতিহাসে নয়, গোটা বিশ্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।এই বিপ্লব হওয়ার পিছনে ছিল দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত নানা অভাব অভিযোগ। ঐতিহাসিক লেফেভরের-এর মতে ফরাসি বিপ্লবের উৎস অনুসন্ধান করতে হবে তার অতীত ইতিহাসের মধ্যে। ফরাসি বিপ্লবের কারন ‌ফরাসি বিপ্লবের পিছনে প্রকৃতপক্ষে তিনটি কারণ দায়ী ছিল-  ‌১) রাজনৈতিক কারন ২) সামাজিক কারণ ৩) অর্থনৈতিক কারণ ফরাসি বিপ্লবের  রাজনৈতিক কারন ফরাসি বিপ্লব ছিল প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বুঁরবো রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।রাজারা ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন এবং তারা বংশানুক্রমিকভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। রাজাদের দুইরকম ভাবে শাসনকার্য চালাত-- ক) রাজাদের দুর্বল শাসন : ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুই(১৬৪৩-১৭১৫ খ্রীঃ) বিলাস ব্যসনে মগ্ন থেকে স্বৈরাচারী ক্ষমতার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।তিনি বলতেন “আমিই রাট্র”। পরবর্তী রাজা...

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি

ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতিগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি ১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠন এর উদ্দেশ্যে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা ভিয়েনা সম্মেলনের মূলনীতি নামে পরিচিত। এই নীতি গুলি ছিল ১) ন্যায্য অধিকার নীতি ২) ক্ষতিপূরণ নীতি এবং ৩) শক্তিসাম্য নীতি। ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতিগুলি হল, ১ ) ন্যায্য অধিকার নীতি :  এই নীতির মূল কথা হলো ইউরোপে বিপ্লব পূর্ববর্তী রাজবংশ গুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। এই নীতির ফলে ফ্রান্সে বুুুরবোঁ বংশ হল্যান্ডে  অরেঞ্জ বংশ , তা নিয়ায় ভিদ্মতে  সাতবাহন বংশ এবং  মধ্য ইতালীতে  পোপ  ক্ষমতা লাভ করে। ২) ক্ষতিপূরণ নীতি :   এই নীতির মূল কথা হলো ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই নীতি প্রয়োগ করে নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপ ও ইউরোপের বাইরের নেপোলিয়ন অধিকৃত ভূখণ্ড গুলি ভাগাভাগিি করে। ৩) শক্তিসাম্য নীতি :  ভবিষ্যতে ফ্রান্স যাতে পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ইউরোপের শান্তি নষ্ট না করতে তা নিশ্চিত করা এই নীতির মূল লক...

ইতালির ঐক্য আন্দোলন, জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ ম্যাৎসিনি ও ইয়ং ইতালি আন্দোলনের ভূমিকা উল্লেখ করো। প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি ইতালি ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯ খ্রি.) আগে বিভিন্ন ছোটবড় পরস্পর-বিরোধী রাজ্যে বিভক্ত ছিল। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এই রাজ্য জয় করে ঐক্যবদ্ধ করলেও তাঁর পতনের পর ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে আবার বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত করে সেখানে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। ম্যাৎসিনি ও  ইয়ং ইতালি আন্দোলন ঃ উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ইতালির জাতীয়তাবাদীরা রাজনৈতিক ঐক্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন  ম্যাৎসিনি (১৮০৫-'৭২খ্রি.) ঐতিহাসিক গ্রেনভিলের  মতে, ম্যাৎসনি ছিলেন "ইতালির প্রজাতান্ত্রিক ঐক্যের মস্তিষ্ক এবং বিধিপ্রেরিত নায়ক।" [1] প্রথম জীবন:   ম্যাৎসিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক, সুলেখক, চিন্তাবিদ, বাগ্মী, ও বিপ্লবী। তিনি ইতালির জেনোয়া প্রদেশ জন্মগ্রহণ করেন (১৮০৫ খ্রি.)। অল্প বয়সেই তিনি স্বাধীন ও ঐক্যবদ্ধ ইতালির স্বপ্ন্ দেখতে শুরু করেন। প্রথম জীবনে তিনি কার্বোনারি নামে একটি গুপ্ত সমিতিতে যোগ দিয়ে ইতালিকে বিদেশি শাসনমুক্তত কর...

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা

ইতালির ঐক্য আন্দোলনে কাউন্ট ক্যাভুরের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো। উনবিংশ শতকে প্রথমদিকে ইতালি বিভিন্ন ছোট-বড় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া ছাড়া ইতালির সব রাজ্যে অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন বিদেশি শক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের ভূমিকা বিদেশি শক্তিগুলিকে বিতাড়িত করে বহুধা বিভক্ত ইতালির ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অসমান অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাউন্ট ক্যামিলো বেনসো ডি ক্যাভুর (১৮১০-১৮৬১ খ্রি.)। [1] মতাদর্শ: [i] বিদেশি সাহায্য গ্রহণ: বাস্তববাদী ক্যাভুর উপলব্ধি করেন যে বৈদেশিক শক্তির সাহায্য ছাড়া অস্ট্রিয়ার মতো প্রবল শক্তিকে ইতালি থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। [ii] স্যাভয় বংশের নেতৃত্ব: ক্যাভুর  পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়া   স্যাভয় বংশের  অধীনে ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করার নীতি গ্রহণ করেন। [iii] পিডমন্টের শক্তিবৃদ্ধি: পিডিমন্টের শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন সংস্কারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। [2] বিদেশি সাহায্য: [i] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তিকে সহায়তা:  অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশি শ...

কোড নেপোলিয়ন

কোড নেপোলিয়ন বলতে কী বোঝো? কোড নেপোলিয়ন-এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট কীভাবে ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ রক্ষা করেন? কোড নেপোলিয়ন কী ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচিগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ হল ‘কোড নেপোলিয়ন’ (Code Napoleon) বা আইনবিধি প্রবর্তন। তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানা স্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক ও পরস্পরবিরোধী আইন প্রচলিত ছিল। নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে ৪ জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে নিয়ে একটি পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে আইনবিধি সংকলিত হয়, তা ‘কোড নেপোলিয়ন’  নামে খ্যাত। কোড নেপোলিয়নের বৈশিষ্ট্য ঃ ২২৮৭টি বিধি সংবলিত এই আইন সংহিতা তিন ভাগে বিভক্ত ছিল— দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং বাণিজ্যিক আইন। আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতি ছিল এই আইন সংহিতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।  নেপোলিয়ন বিপ্লবের আদর্শ, প্রাকৃতিক আইন ও রোমান আইনের সমন্বয় সাধন করে কোড নেপোলিয়ন রচনা করেছিলেন। প্রথমত: এই আইনের ফল...

ফ্রান্সের ইতিহাসে কাকে 'রাজনৈতিক কারাগার’ (Political Prison) বলা হয় ? এবং কেন

১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের পূর্বে বাস্তিল দুর্গ 'রাজনৈতিক কারাগার' হিসেবে পরিচিত ছিল। বিপ্লবের পূর্বে ফ্রান্সে ‘লেতর দ্য ক্যাশে’ নামক গ্রেফতারি পরোয়ানার সাহায্যে রাজকীয় কর্মচারীরা যে-কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিনা বিচারে বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখত বলে একে 'রাজনৈতিক কারাগার’ বলা হয়। রাজতন্ত্রবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার অপরাধে দার্শনিক ভলতেয়ার-কেও বাস্তিল দুর্গে আটক করে রাখা হয়।

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল

 ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়।  প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...

ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লব হয়েছিল কেন?

ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের কারণ ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ১) কৃষি বিপ্লব : নবজাগরণের ফলে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়। নতুন ও উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে। এই কৃষি বিপ্লব শিল্পবিপ্লবকে কাঁচামাল দিয়ে সাহায্য করেছিল। ২) সুলভ শ্রমিক : ষোড়শ শতক থেকে ইংল্যান্ডে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই বর্ধিত জনসংখ্যা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সুলভ শ্রমিকের যোগান দিয়েছিল। ৩) মূলধনের প্রাচুর্য : ১৭ শতক থেকে ইংল্যান্ড বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে। এই মুনাফা শিল্পের প্রয়োজনীয় মূলধনের যোগান দিয়েছিল। ৪) বাজার : ঔপনিবেশিক দ্বন্দ্বে জয়লাভের ফলের শিল্প পণ্যের বাজার পেতে সুবিধে হয়েছিল। ৫) খনিজ : শিল্পের প্রয়োজনীয় খনিজসম্পদ যেমন লোহা ও কয়লা ইংল্যান্ডে প্রচুর পাওয়া যেত। ৬) উন্নত পরিবহন : নবজাগরণ ও নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। এই পরিবহন ব্যবস্থা শিল্পবিপ্লবে সাহায্য করেছিল। এই সমস্ত অনুকূল পরিবেশ ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করেছি...

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন? অথবা, জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো।

জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্ক কি নীতি গ্রহণ করেন?  অথবা,  জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের 'রক্ত ও লৌহ নীতি' সম্পর্কে আলোচনা করো চতুর্থ ফ্রেডরিক উইলিয়ামের পরবর্তী রাজা প্রথম উইলিয়াম প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী ছিলেন। জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিসমার্কের নীতি ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে অটো ফন বিসমার্ক  (১৮৬২-১৮৯০ খ্রি.) প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলে প্রথম উইলিয়ামের লক্ষ্য বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায়। জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিনি নিম্নলিখিত নীতি গ্রহণ করেন -  [1] রাজতন্ত্রে বিশ্বাস: রাজতন্ত্রে  বিশ্বাসী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ছিল প্রশিয়ার রাজতন্ত্রের অধীনে সমগ্র জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং প্রাশিয়ার রাজতান্ত্রিক শাসনের ভাবধারায় জার্মানিকে প্রভাবিত করা। [2] রক্ত ও লৌহ:  বিসমার্ক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ওপর নয়, 'রক্ত ও লৌহ নীতি 'র উপর আস্থাশীল ছিলেন। তিনি প্রাশিয়ার আইন সভায় ঘোষণা করেন যে, "বিতর্ক ভোটের দ্বারা নয়, রক্ত ও লৌহ নীতির মাধ্যমেই জার্মানির সমস্যার সমাধান হবে।" [3] সামরিক ...

ফেব্রুয়ারী বিপ্লবের (১৮৪৮ খ্রি.) কারণ

ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের (১৮৪৮ খ্রি.) কারণ গুলি কি ছিল? দশম চার্লস রাজত্বকালে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের মাত্র তিনদিনের রক্তপাতহীন জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্স আলিয়েন বংশের সূচনা হয় এবং এই বংশের রাজা লুই ফিলিপ ফ্রান্সের সিংহাসন লাভ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র 'জুলাই রাজতন্ত্র' নামে পরিচিত। ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে লুই ফিলিপ তথা জুলাই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং ফ্রান্সে 'দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের কারণ: বিভিন্ন ঐতিহাসিক ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের জন্য বিভিন্ন কারণকে দায়ী। যেমন- [1] বুর্জোয়াদের আধিপত্য: লুই ফিলিপ একটি বুর্জোয়া পার্লামেন্টের দ্বারা রাজপদে নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর দেশে বুর্জোয়াদের স্বার্থরক্ষার ব্যবস্থা হয়। ফলে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। [2] জনসমর্থনের অভাব: বিভিন্ন কারণে লুই ফিলিপের জনসমর্থনের অভাব ছিল। যেমন- [i] নেপোলিয়নের অনুগামীরা তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র লুই বোনাপার্টকে সিংহাসনে বসাতে চেয়েছিল। [ii] ন্যায্য অধিকার নীতির সমর্থকরা দশম চার্লসের উত্তরাধিকারী ডিউক অব বেরিকে সিংহাসনের বৈধ দাবিদার বলে মনে করতেন।...