জোলভেরাইন কী? জোলভেরাইন কী? ‘ জোলভেরাইন ’ হল একটি শুল্ক সংঘের নাম। ১৮১৯ সালে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে এই সংস্থা প্রাশিয়া সহ অন্যান্য জার্মান রাষ্ট্রগুলোর বাণিজ্য-প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাস্পরিক সহযোগিতার জন্য গড়ে তোলা হয়। জার্মান অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন ছিলেন এর প্রধান উদ্যোক্তা। জোলভেরাইন-এর উদ্দেশ্য হল : সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একই হারে সীমান্ত শুল্ক আরোপ করা, আদায়ীকৃত অর্থ জনসংখ্যার অনুপাতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্টন করা, জার্মান ভাষাভাষী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সর্বপরি জার্মান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করার মাধ্যমে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার পথ প্রস্তুত করা। এইভাবে জোলভারেইন জার্মানির ঐক্য সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ঐতিহাসিক ম্যারিয়টের মতে, “জোলভারেইন হল জার্মানিকরণের প্রথম সোপান” । ------------xx----------- এই প্রশ্নের বিকল্প প্রশ্ন হল : কে, কী উদ্দেশ্যে ‘জোলভেরাইন’ গঠন করেছিলেন? ‘জোলভেরাইন’ গঠনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কী ছিল? জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ‘জোলভেরাইন’ গঠনের গুরুত্ব কতটা? এই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও...
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...