মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন? মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কেন? সম্রাট নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক শক্তিকে ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। মূলত এই উদ্দেশ্যেই তিনি মহাদেশীয় ব্যবস্থা ঘোষণা করেন । কিন্তু বাস্তবে এর ফল হয়েছিল ঠিক উল্টো, যা নেপোলিয়নের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। মহাদেশীয় ব্যবস্থার ব্যর্থতার কারণ : নিম্নলিখিত কারণে নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল? ১) ফরাসি নৌশক্তির অভাব : নেপোলিয়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউরোপের সুদীর্ঘ উপকূল পাহারা দেয়ার মত কোন নৌবাহিনী ফ্রান্সের ছিল না। ফলে নেপোলিয়ন ইউরোপে ব্রিটিশ পণ্যের প্রবেশ আটকাতে পারেননি। ২) ইংল্যান্ডের শক্তিশালী নৌবহর : উল্টোদিকে ইংল্যান্ডের ছিল শক্তিশালী নৌবহর। এই নৌহারে সাহায্যে ইংল্যান্ড অর্ডার্স ইন কাউন্সিল নামে যে পাল্টা অবরোধ ঘোষণা করেছিল তাকে সফলভাবে কার্যকর করতে পেরেছিল। ৩) ইউরোপ জুড়ে অর্থনৈতিক সংকট : নৌশক্তিতে ফ্রান্সের দুর্বলতা এবং ইংল্যান্ডের শক্তিমত্তা ইউরোপে নেপোলিয়নের অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছিল। ফলে ইউরোপের বাজারে যে নিত্য প...
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...