ইতালির ঐক্য আন্দোলোনে ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুরের আদর্শগত পার্থ্যকগুলি কি ছিল? ইতালির জাতীয়তাবাদী মুক্তির আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন জোসেফ ম্যাৎসিনি। তাঁর আদর্শ, আত্মত্যাগ ও দেশপ্রেম ইটালিবাসীকেচেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। ইয়ং ইতালি ছিল তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি। পিডিমন্ট-সার্ডিনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ভিক্টর ইমন্যুয়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কাউন্ট ক্যাভুর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ, বুদ্ধিমান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। তাঁর লক্ষ্য ছিল পিডিমন্ট রাজবংশের অধীনে সমগ্র ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ করা। ম্যাৎসিনি ও কাউন্ট ক্যাভুরের আদর্শগত পার্থক্য ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুর উভয়েরই লক্ষ্য ছিল বৈদেশিক প্রভাব থেকে ইতালিকে মুক্ত করা। তবুও উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু আদর্শগত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যথা - বিষয় জোসেফ ম্যাৎসিনি কাউন্ট ক্যাভ্যুর প্রকৃতি ম্যাৎসিনি ছিলেন আদর্শবাদী। ক্যাভ্যুর ছিলেন বাস্তববাদী। বিশ্বাস ম্যাৎসিনি ম্যাৎসিনি বিশ্বাস করতেন ইতালির যুব শক্তির দ্বারা ইতালির মুক্তি সম্ভব। ক্যাভ্যুর ইতালির মুক্তির জন্য বৈদেশিক সহায়তার উপর জোর দেন। সমর্থক ম্যাৎসিনি ছিলেন গণতন্ত্রের সমর্থক। ক্যাভ্যুর ছিলেন সাংবিধান...
ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল Causes and consequences of the Crimean War ক্রিমিয়ার যুদ্ধ : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে রাশিয়া তুরস্ক দখল করার চেষ্টা করলে, বলকান অঞ্চলে গুরুতর সংকট সৃষ্টি হয় যা, বলকান সমস্যা নামে পরিচিত। মূলত এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৫৪ সালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির পিডমন্ট-সার্ডেনিয়া সহ কিছু দেশ তুরস্কের পক্ষ অবলম্বন করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ : ক্রিমিয়ার যুদ্ধের কারণ কে দু ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কারণ। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের পরোক্ষ কারণ : রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধি : অটোমান সাম্রাজ্যের দুর্বলতার কারণে বলকান সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে রাশিয়া ১৮৩০ সালে তুরস্কের কাছ থেকে বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালীতে রুশ জাহাজ চলাচলের অধিকার আদায় করে। রাশিয়ার এই শক্তি বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ড ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তুরস্ক দখলের পরিকল্পনা : ১৮৫৩ সালে রাশিয়া ইংল্যান্ড এর কাছে তুরস্ককে ব্যবচ্ছে...